বড়  আপু যখন বউ 


 

একা চলা কোনো মায়ায় না জড়ানো ৷ তিনদিন পর ৷
মাঠের কোনায় বসে নোট করছিলাম ৷
সাথে একটা সিগারেট খাচ্ছিলাম ৷
তখম দেখলাম ৷ খুশবু আপুর গাড়ি এসে মাঠের মাঝখানে দারালো ৷
খুশবু আপু গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলো ৷
হয়তো আমাকে দেখতে পারে নি ৷
আমি নিজের মতো নোট করতে লাগলাম ৷
কিছুক্ষন পর সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি খুশবু আপু আমার দিকে তাকিয়ে আছে ৷
চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে চোখের নিচে কালো দাগ ৷ খুশবু আপুকে দেখে একবার সিগারেটটা ফেলে দিতে চাইলাম ৷
বড়  আপু যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প 
কিন্তু কি যে মনে হলো ফেলে না দিয়ে মাথাটা নিচু করে নোট করতে লাগলাম ৷
খুশবু আপু সেখান থেকে চলে গেলো ৷
আমি একটু পর বাসায় চলে আসলাম ৷
এরপর প্রতিদিন কলেজে গেলাম খুশবু আপুকে একটু আড়াল থেকে দেখার জন্য ৷
প্রতিদিন নিজের মনকে বলি কাল আর যাব না ৷ কিন্তু পরেরদিন ঠিকি কলেজে চলে যাই ৷
খুশবু আপু কলেজে আসে ৷ চুপচাপ মনমরা হয়ে বসে থাকে ৷
রনিকে দেখি তার সাথে বসে থাকতে ৷ প্রতিদিন কলেজে গেলে দিশা মেয়েটা কথা বলতে আসবে ৷ খুশবু আপু মাঝে মাঝে আমার সাথে ওকে কথা বলতে দেখে তাকিয়ে থাকে ৷
হয়তো মেয়েটাকে আমার সাথে কথা বলতে নিষেধ করতে চায় আমি খারাপ হয়তো সেই জন্য ৷ আমিও যতটা সম্ভব দিশার থেকে দূরে থাকি ৷
এভাবে ২০ দিন কেটে গেলো ৷ আজ পাচ দিন হলো আর কলেজে যাই না ৷
আজ কলেজে যেতে কেনো জানি খুব মন চাইলো ৷ ব্যাগটা নিয়ে কলেজে গেলাম ৷
কলেজে গিয়ে চোখ দুটো কাকে জানি খুজছিলো ৷ কিন্তু তাকে খুজে পাচ্ছিলো না ৷
কলেজের চত্ত্বরে বসে ছিলাম ৷
একটু পর একটা পুলিশের গাড়ি এসে দাড়ালো ৷
গাড়ি থেকে একজন পুলিশ অফিসার নেমে এসে চারদিকে দেখতে লাগলো ৷ তারপর আমাকে দেখে আমার দিকে আসতে লাগলো ৷
বুকের ভেতরটা কেমন জেনো করছিলো ৷
মনে হচ্ছিলো দৌড়ের দিয়ে পালিয়ে যাই ৷
কিন্তু আমি তো কোনো দোষ করি নি তাই চুপচাপ বসে রইলাম ৷
পুলিশ অফিসারটি আমার কাছে আসলো ৷
* তোমার নাম ফুয়াদ ? (পুলিশ অফিসার)
* জি স্যার (আমি)
* তোমাকে আমার সাথে যেতে হবে চলো ৷ (পুলিশ অফিসার)
* কিন্তু কেন আর আপনি কে ? (আমি)
* আমি খুশবুর ভাইয়া ৷ (পুলিশ অফিসার)
* ওহ কিন্তু কেন যাব ? (আমি)
* গেলেই বুঝতে পারবে ৷ (খুশবু আপুর ভাইয়া)
* কিন্তু কোথায় ? (আমি)
* আমাদের বাসায় ৷ (খশবু আপুর ভাই)
* আচ্ছা চলুন ৷ (আমি)
খুশবু আপুকে দেখার খুব ইচ্ছে করছিলো আর মনে মনে খুব ভয় হচ্ছিলো খুশবু আপু কি এমন করলো যে আপুর ভাই আমাকে তাদের বাসায় নিয়ে যাচ্ছে ৷
কিচ্ছুক্ষন পর খুশবু আপুদের বাসায় গিয়ে পৌছালাম।।
বাসার ভিতরে গেলাম ৷ খুশবু আপুর ভাইয়া আমাকে বসতে বলে কোথায় জেনো গেলেন ৷
আমি সোফায় বসে রইলাম
কিচ্ছুক্ষন পর দুইজন মহিলা আসলেন ৷
একটু পর খুশবু আপুর ভাইয়া আর একজন লোক উপর থেকে নেমে আসলেন ?
হয়তো মহিলাদের মধ্যে একজন আপুর মা আর আরেকজন ভাবি আর আপুর ভাইয়ের সাথে লোকটি হয়তো তার বাবা ৷৷
সবাই আমার সামনে বসলেন ৷ আমি ভয়ে কুঁকড়ে মুকরে যাচ্ছিলাম ৷
*তাহলে তুমি ফুয়াদ ৷ (খুশবু আপুর আব্বু)
* জি কিন্তু আপনারা আমাকে চিনেন কেমন করে ? (আমি)
* খুশবু বলেছে এমনকি তোমার ব্যাপারে সব জানি আমরা ৷ তুমি কী জানো যেদিন তুমি খুশবুর বার্থেডে তে আসুনি সেদিন ও বাসার সব জিনিসপত্র ভেংগে ফেলে ৷ (খুশবু আপুর আব্বু)
* এত রাগ (মনে মনে আমি )
* তোমার কথা ও প্রত্যেকদিন আমাদের কাছে এসে বলতো ৷ আমার মেয়েটা জীবনে যা কিছু চেয়েছে তাই এনে দিয়েছি ৷ কিন্তু শেষ মেষ যা চাইলো তা আমার এনে দেওয়ার ক্ষমতা নেই ৷ ( খুশবু আপুর আব্বু)
বড়  আপু যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প 
* কি চেয়েছে আপু ? (আমি)
* শুধু তোমাকে চেয়েছে ৷ (খুশবু আপুর আব্বু)
* আমাকে মানে ? (আমি)
* হুম তোমাকে ৷ আমার মেয়েটা যে তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে ও যখন আমাকে এসে বললো যে ও তোমাকে ভালোবাসে তখন ও চোখে মুখে খুশি দেখে আমি বেশ অবাক হই । কারন আমি এতটা খুশি ওকে কখনোই দেখি নি।তোমার সাথে কিছুদিন আগে ঝগড়া হওয়ায় বাসায় এসে কান্নাকাটি করে ৷ ভালো মতো খাওয়া করে না। শুধু বলে ফুয়াদকে কে এনে দেও ৷
দয়া করে আমাদের ফিরিয়ে দিও না ৷ আমার মেয়েটা তোমাকে ছাড়া যে মরে যাবে ৷ (খুশবু আপুর আব্বু)
* আরে কি করছেন আপনি আমার গুরুজন । আপনার মাথা নত করা শোভা পায় না ৷ কিন্তু আমার মতো একটা অনাথ ছেলের কাছে আপনার মেয়ে দিবেন আরেকবার ভেবে দেখুন ৷ (আমি)
* আমার মেয়ের খুশিতেই আমার খুশি ৷ (খুশবু আপুর আব্বু)
* আচ্ছা আপনারা যা ভালো বোঝেন ৷ কিন্তু খুশবু আপু কোথায় ? (আমি)
* উপরে আছে যাও। প্রথম রুমটাই ওর ৷ (খুশবু আপুর ভাবি)
খুশবু আপু রুমে গেলাম ৷ দরজা খোলাই আছে কিন্তু জানালা সব বন্ধ ।।
ঘরের ভিতরটা কেমন অন্ধকার হয়ে আছে ৷
চলবে............
বড়  আপু যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প