আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে

আমি তানজু কে কোলে করে নিয়ে নিচে আসলাম । সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে । তানজু কে নামিয়ে দিলাম।
তানজুঃ আব্বু তুমি এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? ওকে কিছু বলো।
আমিঃ আংকেল এর থেকে পারমিশন নিয়েই আপনাকে কোলে নিছি।
তানজুঃ মানে?
আন্টিঃ আমি তো ভাবছিলাম তুই মজা করছিস।
আংকেলঃ আমিও সেটাই ভেবেছিলাম । কিন্তু ও যে সত্যি কোলে নিবে ভাবি নি।
আমিঃ আমি তো বললাম যে যদি ও না আসে তাহলে কোলে করে নিয়ে আসবো।
আম্মুঃ বলছিস জন্য কি সত্যি সত্যি কোলে নিবি তুই ।
আমিঃ তুমি তো জানোই আমি যেটা বলবো সেটা করবোই ।
আম্মুঃ কিছু মনে করিও না। তুমি বসো। খেয়ে নাও ।
তানজুঃ খাবো না আমি ।
( চলে যাচ্ছে)
আমিঃ এই যে
( দাঁড়িয়ে পিছনে তাকালো)
আমিঃ এতো কষ্ট করে ৮০ কেজি ময়দার বস্তা তুলে নিয়ে আসলাম । আর আপনি না খেয়েই চলে যাচ্ছেন?
তানজুঃ হে ইউ,, ৮০ কেজি ময়দার বস্তা কাকে বললেন আপনি ?
আমিঃ আমি তো আপনাকে বলি নি । এখন এসে খেয়ে নেন।
তানজুঃ আমি খাবোই না । আমি গেলাম আম্মু।
আমিঃ তাহলে আবার গিয়ে কোলে করে নিয়ে আসবো কিন্তু । আর এবার কিন্তু ফালাই দিবো। সো এসে খেতে বসুন ।
তানজু আর কিছু না বলে বসে পড়লো।
আংকেলঃ আমার মেয়েটা এতো ভদ্র ভাবে বসলো? ভাবা যায় ।
তানজুঃ তুমি কি বলতে চাচ্ছো আমি অভদ্র?
আংকেলঃ আমি সেটা তো বলি নি । তোকে তো খাবার টেবিলে পাওয়াই যায় না ।
আমিঃ আরে আংকেল আপনি চিন্তা করবেন না । আমি যতদিন আছি ওনাকে তিনবেলাই খাবার টেবিলে পাওয়া যাবে।
তানজু আমার দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে কি যেন বললো।
কি আর বলবে বকা দিচ্ছে নিশ্চয় ।
আর সবাই আমাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে ।
খাওয়া শেষ করে সবাই সবার রুমে গেলো।
আমায় একটা রুম দেখিয়ে দিলো। আমি রুমে না গিয়ে ছাঁদে আসলাম ।
একটু আন্টি আমায় ডাকতে ডাকতে ছাঁদে চলে আসলো।
আন্টিঃ তুই এখনে আর আমি তোকে রুমে খুজছি
আমিঃ তাই । হঠাৎ এতো খোজাখুজি কেন?
আন্টিঃ দরকার আছে । তার আগে বল তুই ছাঁদে কি করিস।
আমিঃ রুমে একা একা ভালো লাগে না। তাই ছাঁদে এসে তারা গুনি ।
আন্টিঃ অনেক তারা গুনছিস। এখন একটা কাজ করতে পারবি?
আমিঃ কি কাজ?
আন্টিঃ তানজু ইংরেজিতে কি যেন একটা বুঝছে না। একটু বুঝিয়ে দিতে পারবি?
আমিঃ কোন ক্লাসে পড়ে?
আন্টিঃ এইবার ইন্টার পরীক্ষা দিবে।
আমিঃ ওহহ। আচ্ছা ঠিক আছে । তুমি যাও আমি আসছি।
আন্টিঃ তাড়াতাড়ি আয়। দেরি করিস না।
আমিঃ আচ্ছা ।
আমি আর কিছু সময় ছাঁদে থেকে নিচে চলে আসলাম ।
আমিঃ আসবো?
তানজুঃ কেন?
আমিঃ আজব তো । কেন মানে কি ?
তানজুঃ কেন মানে আপনি আসবেন কেন?
আমিঃ আন্টি বললো আপনি নাকি কি যেন বুঝতে পারছেন না। তাই জন্য ,,
তানজুঃ আমি কোনো বেয়াদবের থেকে বুঝে নিতে চাই না ।
আমিঃ ওহহ আচ্ছা । ঠিক আছে । আমি চলে যাচ্ছি ।
আমি আমার রুমে এসে শুয়ে মোবাইল গুতোচ্ছি । অদ্ভুত মেয়ে । ওর সাথে কি এমন করলাম যে ও আমায় বেয়াদব বললো? যা বলে বলুক তাতে আমার কি।
আন্টিঃ কি রে তোকে কি বললাম?
( আন্টির কথায় ফোন রেখে আন্টির দিকে তাকালাম)
আমিঃ ওহহ তুমি । হ্যাঁ বলো।
আন্টিঃ তোকে যে বললাম ওকে একটু দেখিয়ে দিতে ।
আমিঃ আমি তো দেখিয়ে দিতে গেছলাম কিন্তু ও তো বললো ওর লাগবে না ।
আন্টিঃ তুই আয় আমার সাথে ।
আমি আন্টির সাথে তানজুর রুমে আসলাম ।
আন্টিঃ কি রে তুই তো একটু আগেই বললি কেউ দেখিয়ে দিলে ভালো হতো । তাহলে এখন আবার কি হলো?
তানজুঃ আমি কোনো বেয়াদবের থেকে দেখিয়ে নিতে চাই নি।
আন্টিঃ বেশি কথা না বলে যা যা সমস্যা আছে ওকে বল। ও যতটা পারে দেখিয়ে দিবে। সুমন তুই বস এখানে ।
আমিঃ আচ্ছা ।
আন্টি চলে গেল । এখন তো আর কোনো উপায় নাই তাই বাধ্য হয়ে খাতা নিয়ে এসে বসলো।
আমিঃ আমি সুমন ( হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে)
তানজুঃ তো আমি কি করবো। আমি এখানে আপনার সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য বসি নি।
আমিঃ ওহহ হ্যাঁ । তাই তো সরি ভুলে গেছলাম । তো কি কি সমস্যা আপনার ?
 আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে
তানজুঃ সব গুলো আইটেম ফাস্ট ইয়ারে করছি এরপর তেমন প্রাকটিস করা হয় নি । নোট খতা টা একটা ফ্রেন্ড নিয়ে গেছে । আর এদিকে কাল পরীক্ষা আছে ।
প্রথমে ভাবছিলাম পড়াবো না মজা নিবো। কিন্তু কাল যেহেতু পরীক্ষা আর ওকে খুব চিন্তিত লাগছে । তাই মজা নিয়ে মন চাচ্ছে না । আর চিন্তায় মেয়েটার মুখটা চুপসে গেছে । মেয়েরা সচরাচর এমনি হয় সামান্য পরীক্ষা নিয়ে এরা যে পরিমাণ চিন্তা করে । আমরা ছেলেরা বিসিএস পরীক্ষায় ও এতটা চিন্তা করি না।
আমিঃ দুই দিন পর আপনার বোনের বিয়ে আর আপনি পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা করছেন? আমি হলে পরীক্ষায় দিতাম না ।
( তানজু আমার দিকে তাকালো । ওর চোখের ভাষা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে আমার কথা বলা ও পছন্দ করছে না )
আমিঃ তাহলে কি Article থেকে শুরু করবো না কি preposition বা অন্য কিছু শুরু করবো?
তানজুঃ আপনার যা ইচ্ছে । আসছে বড় টিচার হতে ( বিড়বিড় করে বললো। আমি যদিও শুনলাম কিন্তু ওদিকে গুরুত্ব দিলাম না)
আমরা ক্লাস টেন এ ইন্টার এর ইংলিশ টা শেষ করি। এরপর ফাস্ট ইয়ারে স্যার সবগুলো আইটেম এর কমবেশি শর্ট নিয়ম শিখিয়ে দেয়। আমি তানজু কে সেই সব নিয়ম গুলো বুঝিয়ে দিলাম।
ওকে বোঝাতে কখন যে ১ টা বাজলো বুঝতে পারি নি ।
আমিঃ এগুলো কি মাথায় থাকবে ?
তানজুঃ হ্যাঁ ।
( ওকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ও ভালো স্টুডেন্ট । আর সুন্দরী মেয়েরা সব সময় ভালো স্টুডেন্ট এ হয়। এইজন্য রোগী চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতালে না গেলেও ডাক্তার নার্সকে দেখার জন্য ঠিকই যায়। )
আমিঃ তাহলে আমি এখন আসি। আল্লাহ হাফিজ ।
তানজুঃ হুম ।
( আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে )
আমিঃ কিছু মনে না করলে একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
তানজুঃ হ্যাঁ বলুন
আমি পরীক্ষা কখন?
তানজুঃ দুপুরে ।
আমিঃ তাহলে এখন ঘুমিয়ে পড়ুন । আপনার জন্যই ভালো হবে ।
আমি ওর রিপ্লাই এর অপেক্ষা না করেই চলে আসলাম । যদিও বা আমরা ছেলেরা কখনো পরীক্ষার আগের রাত ছাড়া পড়তে বসি নি । কিন্তু মেয়েরা এতটা চাপ নিতে পারবে না । দেখা যাবে সারা রাত বই পড়ে পরীক্ষায় গিয়ে নাক ডাকছে ।
আমি রুমে এসে শুয়ে পড়লাম । আমার মুভি দেখার সময়টা মাঝখানে থেকে ফিনিশ হয়ে গেল । কি আর করার সুন্দরী মেয়ের পাশে কিছু সময় কাটাতে গেলে একটু তো ত্যাগ শিকার করতেই হবে।।
.

আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে
.
.

তানজু আর আমি সুন্দর একটা রাস্তা দিয়ে হাটছি। তানজুর হাত আমার হাতে। হঠাৎ করেই আমি ওকে টান দিয়ে আমার বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলাম । কিছু সময় আমার বুকে মুখ লুকিয়ে থাকলো। হঠাৎ আমার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঠাসসস করে আমার গালে একটা থাপ্পড় দিলো।
সাথে সাথেই আমি চমকে উঠলাম । তারমানে আমি এতক্ষণ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছিলাম?
যাই হোক ভাগ্য ভালো এটা স্বপ্ন ছিলো। নয়তো এতক্ষণে আমার বারোটা বাজিয়ে দিতো যে লেভেলের ডাইনী ।
পাশ থেকে মোবাইল টা নিয়ে দেখি ১০ টা বাজে।
এটা কি হলো? ১০ টা বাজে অথচ এখনো কেউ আমায় ডাকে নি।
আম্মু ভালো করেই জানে আমি একটু জমিদার টাইপ। বাসায় তো এমনিতেই ১০ টার আগে আমার সকাল হয় না।
উঠে ফ্রেশ হয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার জন্য ছাঁদে আসলাম । কিন্তু আজ আকাশ টা একটু মেঘলা । ছাঁদে এক পাশে দুইটা মেয়ে দাড়িয়ে কি যেন করছে । একটা তো তানজু অন্য টা কে?
যাই হোক না কেন তাতে আমার কি?
আড় চোখে তাকিয়ে ছিলাম । তাই বুঝতে পারলাম তানজু মেয়েটাকে আমার দিকে দেখিয়ে দিয়ে কি যেন বললো।
এটাই একটা সুযোগ । গিয়ে কথা বলে আসি।
মেয়েটাকে আমায় দেখিয়ে দিয়ে আবার অন্য দিকে মুখ ফিরালো।
আমিঃ আমায় নিয়ে কথা হচ্ছে বুঝি?
( পিছনে থেকে হঠাৎ করে কথা বললাম জন্য একটু চমকে গেছে)
তানজুঃ আপনি? আপনি এখানে কেন?
আমিঃ আমায় নিয়ে কথা বলছেন তাই জন্য শুনতে আসলাম কি বলছেন ।
তানজুঃ আমাদের কি আর কাজ নেই যে আমরা আপনাকে নিয়ে কথা বলবো।
আমিঃ আমায় নিয়ে কথা বলাটাও তো একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
তানজুঃ আপনি নিজেকে কি ভাবেন যে সবাই আপনাকে নিয়ে কথা বলবে?
আমিঃ আমি নিজেকে অনেক কিছু ভাবি। অনেক বড় কিছু । অনেক ভলো হ্যান্ডসাম ইত্যাদি ।
তানজুঃ নিজের ঢোল নিজে পিটাইতে লজ্জা করে না। 
আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে
আমিঃ লজ্জা করবে কেন? নিজের ঢোল নিজেকেই পিটাইতে হয়। আর উল্টো পাল্টে বলার জন্য তো আপনার মতো দুষ্ট প্রতিবেশীর তো অভাব নেই ।
তানজুঃ কি বললেন?
আমিঃ ওহহ কানেও সমস্যা আছে । আমি তো ভাবছিলাম শুধু মাথাটাই একটু গরম । যাই হোক বাসায় কি সব সমস্যার কথা জানে? না জানলে আমি জানিয়ে দিবো সমস্যা নেই ।
তানজুঃ আমি আপনাকে,,,
আমিঃ ধন্যবাদ দিতে হবে না । এটা তো আমার দায়িত্ব ( তানজু কে থামিয়ে দিয়ে বললাম) বাই দা রাস্তা আমি সুমন ( তানজুর পাশের মেয়েটাকে বলে হাত বাড়িয়ে দিলাম)
মেয়েটাঃ আমি মেঘা। ( হ্যান্ডশেক করে মুচকি হেঁসে )
তানজুঃ তুই ওনার সাথে হ্যান্ডশেক করলি কেন?
আমিঃ সবাই কি আপনার মতো গাইয়া নাকি।
তানজুঃ কি বললেন? আমি গাআআআ
আমিঃ আস্তে আস্তে । কেউ শুনে নিবে। আর হ্যাঁ আপনার হাসিটা অনেক সুন্দর । যদি ভাবেন লাইন মারছি তাহলে সেটাই ভাবতে পারেন । কিন্তু সত্যি বলতে আমি ভয় পাই না ( মেঘা কে বললাম)
তানজু হয়তো আরও কিছু বলতে চেয়েছিলো কিন্তু তার আগেই আমি চলে আসলাম । তবে বুঝতে পারছি ও ওর বান্ধবী কে খুব বকাবকি করছে।
আমি সকালের ব্রেকফাস্ট আর দুপুরের লাঞ্চ একসাথে করি তাই আমার টা হয় ব্রাঞ্চ ।
খাওয়া শেষ করে একটু বিশ্রাম নিচ্ছি । আম্মু রুমে আসলো।
আমিঃ আসুন আসুন একটু দর্শন দিন।
আম্মুঃ খাওয়া করছিস?
আমিঃ প্রায় ১ টা বাজে এখুনি জিজ্ঞেস করছে খাইছি নাকি। আল্লাহ তুমি মোরে উঠাই নাও নয়তো রশি ফালাও নিজেই ইউঠা যাই ।
আম্মুঃ তোর তো সকাল শুরু হয় ১২ টায় তো আমার কখন বলা উচিত?
আমিঃ সেটাও ঠিক বলছো। তো কই ছিলা সকাল থেকে?
আম্মুঃ তাসুর সাথে পাশেই ওদের একটা বাগান আছে সেখানে গেছলাম ।
আমিঃ ওহহ আচ্ছা । ।
আম্মু আর আমি গল্প করছি এমন সময় আন্টি রুমে আসলো।
আন্টিঃ মা ছেলে মিলে কি গল্প করছিস?
আমিঃ আমার আব্বুকে কেমনে পটাইছে সেটাই শুনতাছি। কেন তুমি ও শুনবা নাকি?
আন্টিঃ তোর আব্বু আম্মুর শুরু থেকে শেষ আমি জানি। আমার আর জানা লাগবে না । তোর কি এখন কোনো কাজ আছে ?
আম্মুঃ ওর আবার কাজ। সারাদিন খাওয়া আর ঘুমানো ছাড়া ওর কোনো কাজ নেই ।
আন্টিঃ তাহলে তানজুকে একটু এগিয়ে দিয়ে আয়। ওর নাকি লেট হইছে । তোর আংকেল কি যেন কাজে ব্যাস্ত। তাই তোকে যেতে বললো।
আমিঃ বাহ। এখন থেকেই জামাইকে সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছো।
আম্মুঃ বেশি বকবক না করে গিয়ে দিয়ে আয়।
আমিঃ আমার তো সমস্যা নেই । কিন্তু তোমার মাইয়া যাইবো কি মোর লগে ?
আন্টিঃ তুই আবার বরিশাইল্লা হইলি কবে?
আমিঃ হেইয়া মনু তুমি বুঝবা না।
আন্টিঃ বুঝতে ও চাই না তাড়াতাড়ি আয়। ও নিচে বসে আছে ।
আমিঃ ওকে।
আমি রেডি হয়ে নিচে আসলাম ।
আমায় দেখে সাপের মতো ফুঁসছে মনে হচ্ছে এই বুঝি ছোবল খাই।
আন্টিঃ তানজু সুমন তোকে এগিয়ে দিয়ে আসবে।
তানজুঃ আমি ওর সাথে যাবো না ।
আন্টিঃ তোর আব্বু কাজ করছে তাই ওকে যেতে বলছে ।
তানজুঃ আমি হেটেই যাবো।
আমিঃ অলরেডি ১ঃ৩০ পার হইছে । দুটায় পরীক্ষা যেতে পারবেন তো?
কোনো উপায় না দেখে তানজু আমার সাথে যেতে রাজি হলো।
তানজুঃ ঠিক আছে । আমি যাবো তবে রাস্তায় আমার সাথে কোনো কথা বলা যাবে না। আর বাইকের হার্ড ব্রেক করা যাবে না ।
আন্টিঃ শুনলি তো কি বললো।
আমিঃ আমার কানে কোনো সমস্যা নেই । সব কিছু শুনি। ওকে ব্রেক এ পা দিবোই না । আর বাকি রইলো কথা বলা তো? আমি পারলে রাস্তার পাশে কলা গাছের সাথে কথা বলবো তবুও আপনার মতো ইয়ের সাথে না।
তানজুঃ ইয়ে? ইয়ে মানে কি?
আমিঃ বুঝলে বুঝপাতা না বুঝলে তেজপাতা । এখন আসেন।
তানজুঃ আজ আসি আগে তারপর আব্বুর হচ্ছে ।
রাগ করে হনহন করে বেড়িয়ে গেলো।
আমিঃ আন্টি আপনার জামাই আর মেয়ে শর্ট ড্রাইভে যাচ্ছে দোয়া কইরেন ।
আন্টিঃ তাড়াতাড়ি যা ফাজিল একটা।
.
..
...
....
...
আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে
..
.
To be continue.....