.
তরীর কথা শুনে মনে হলো আমার পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে গেছে। আমি চোখ বড় বড় করে তরীর দিকে তাকালাম। তরী আমার দিকে রাগী লুক নিয়ে চেয়ে আছে। তার চোখ দিয়ে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। আমি কাঁপাকাঁপা গলায় বললাম,
.
-- কেন বিয়ে করবে না.? (আমি)
.
-- সেটা কি এখনো বলে দিতে হবে.? এসব কি.? (তরী)
.
তরী আমার দিকে তার ফোনটা বারিয়ে দিল। আমি কাঁপাকাঁপা হাতে ফোনটা হাতে নিলাম। ফোনের দিকে তাকাতেই আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল।
ফোনের স্কিনে আমার আর রিমির কয়েকটা ছবি ভাসছে। ছবিগুলো ঘন্টা দু'য়েক আগে আমি যখন রিমি'কে শাড়ি পড়াচ্ছিলাম তখনকার। ছবিতে রিমি অর্ধলগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর আমি তাকে শাড়ি পড়িয়ে দিচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা, শাড়ি পড়ানোর সময় আমি যখন রিমির পেটের দিকে তাকিয়ে ছিলাম ছবিগুলো তখন উঠেছে। তাছাড়া গাড়িতে আসার সময় রিমি আমার গালে একটা কিস করেছিল। সেটারও ছবি আছে।
.
আমি জানি, এসব ছবিগুলো রিমি তুলেছে কিন্তু কিভাবে তুলেছে সেটাই বুঝতে পারছি না। আমি ভয়ে ভয়ে তরীর দিকে তাকালাম। তরী আমার দিকে রক্তচক্ষু নিয়ে তাকিয়ে আছে।
.
এত সুন্দর করে সাঁজার পরও তরীকে আজ ভয়ংকর লাগছে। মনে হচ্ছে, তার রক্তলাল চোখ দিয়ে আমাকে ধ্বংস করে দিবে। অবশ্য সেটাই স্বাভাবিক। তরীর জায়গায় আমি হলে এটাই করতাম। কিন্তু এখানে আমার-ই বা কি করার আছে। রিমি যে আমাকে এভাবে ফাঁসাবে ভাবতে পারি নি।
আমি মনে মনে এসব চিন্তা করছিলাম, তখন তরী বলে উঠল,
.
-- রিমির সাথে তোমার কি সম্পর্ক.? (তরী)
.
-- কেন তুমি জান না.? (আমি)
.
পাল্টা প্রশ্ন করি আমি। এতে তরী আরো রেগে যায়। ক্ষ্যাপা বাঘিনীর মত গর্জে উঠে বলে,
.
-- আমি তোমার মুখ থেকে শুনতে চেয়েছি। বলো। (তরী)
.
-- ভাই-বোনের সম্পর্ক। রিমি আমার বোন। (আমি)
.
-- তাহলে এসব কি.? কোন ভাই তার বোনের সাথে এসব করে শুনি.? বলো আমাকে.! (তরী)
.
-- বিশ্বাস করো, এতে আমার কোন দোষ নেই। এটা জাস্ট একটা এক্সিডেন্ট.! (আমি)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি। রিমির সাথে এসব কবে থেকে চলছে.? (তরী)
.
-- কি চলছে.? (অবাক হয়ে)
.
-- প্রেম-ভালবাসা, চুমু খাওয়া, শাড়ি পড়িয়ে দেয়া এসব। (তরী)
.
-- বললাম তো, রিমির সাথে আমার খারাপ কোন সম্পর্ক নেই। (আমি)
.
-- একদম মিথ্যা বলবে না। এই ছবিগুলোই বলে দিচ্ছে তোমাদের দু'জনের কি সম্পর্ক। না জানি আরো কত কি চলছে তোমাদের মর্ধ্যে। (তরী)
.
-- তরী প্লিজ, আমাকে ভুল বুঝো না। গাড়িতে রিমি ইচ্ছা করেই আমাকে কিস করেছে। সেখানে আমার কি করার আছে বলো। আর আমি রিমিকে শাড়ি পড়িয়ে দিতে চাই নি। রিমি আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেছিল, যদি তার কথা না শুনি তাহলে আমাদের বিয়েটা ভেঙে দিবে। (আমি)
.
-- রিমি আমাদের বিয়ে ভাঙতে চাইবে কেন.? (তরী)
.
-- জানি না। আসলে, রিমি চায়না আমাদের বিয়েটা হোক। তাই সে এসব করেছে। আর আমি আল্লাহ'র নামে শপথ করে বলছি, রিমির সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি রিমিকে বোনের চোখে দেখি। (আমি)
.
আমার কথা শুনে তরী একটু শান্ত হলো। আমার কথা মনে হয়, তরী বিশ্বাস করেছে। তার চেহেরা থেকে রাগের আভাটা ধীরে ধীরে ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে। আমি একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। তরী আমার কাছে দু'পা এগিয়ে আসলো। শান্ত গলায় বলল,
.
-- তুমি সত্যি বলছো তো, রিমির সাথে তোমার কোন সম্পর্ক নেই.? (তরী)
.
-- সত্যি বলছি। (আমি)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- আমার মাথা ছুঁয়ে বলো। (তরী)
.
-- এই যে, তোমার মাথা ছুঁয়ে বলছি, রিমির সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। (মাথায় হাত দিয়ে)
.
-- স্যরি, তোমাকে ভুল বোঝার জন্য। (কান্নার সুরে)
.
-- এখন আর স্যরি বলে কি লাভ। যা করার তা তো করেই ফেলেছো। বিনাদোষে চড় খেলাম। (আমি)
.
-- আমি স্যরি বললাম তো। আসলে ছবিগুলো দেখার পর আমার মাথা ঠিক ছিল না। তাই রাগের মাথায় তোমাকে চড় মেরেছি। প্লিজ, আমাকে মাফ করে দাও। (তরী)
.
-- আচ্ছা দিলাম কিন্তু আর কখনো আমাকে ভুল বুঝবে না তো.? (আমি)
.
-- না আর কক্ষনো না। (তরী)
.
-- ঠিক আছে। আর একটা বলো তো, এই ছবিগুলো তোমাকে কে দিয়েছে.? (আমি)
.
-- জানি না। একটু আগে মেসেনঞ্জারে অপরিচিত একজন পাঠিয়েছে। (তরী)
.
-- আমি নিশ্চিত ওটা রিমি ছিল। (আমি)
.
-- আচ্ছা, আমাদের বিয়েটা ভেঙে রিমির কি লাভ.? (তরী)
.
-- সেটাই তো জানি না। আচ্ছা, রিমির কথা এখন ছাড়ো। ওকে পরে দেখে নিব। তুমি একটু কাছে আসো। (আমি)
.
-- কেন.? (তরী)
.
-- আরে আসো না। (আমি)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
আমি টান দিয়ে তরীকে আমার কাছে নিয়ে আসলাম। তরী তাল সামলাতে না পেরে আমার বুকের উপর এসে পড়ল। আমি তরীর কোমড় জড়িয়ে ধরলাম।
.
-- কি করছো এসব.? (তরী)
.
-- তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। ইচ্ছে করছে এখনি বাসর রাতের কাজটা সেরে ফেলি। নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না। (আমি)
.
-- যাহ্ দুষ্টু.! মুখে কিচ্ছু আটকায় না। (তরী)
.
-- কি করবো, তোমার প্রেমে পড়ে বেহায়া হয়ে গেছি। তোমার ঠোঁটের লিপস্টিক নষ্ট করতে দিবে.? জাস্ট একটা কিস করবো। (আমি)
.
-- একদম না। কেউ দেখে ফেললে খারাপ ভাববে। (তরী)
.
-- কেউ দেখবে না। এটা আমাকে চড় মারার শাস্তি। (আমি)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
কথাটা বলে আমি তরীকে আমার দেহের সাথে আরো জোরে চেপে ধরলাম। তরী কোন বাঁধা দিল না। আমি তরীর দিকে তাকালাম। তার চোখ-মুখ বলছে, আমি যেন তাকে ভালবাসার পরশে ভরিয়ে দেই। তাকে আলিঙ্গন করি।
.
আমি তরীর রক্তজবার মত লাল ঠোঁটে আমার ঠোঁঠ ছোঁয়ালাম। তরী কেঁপে উঠলো। আমার সাথে সে ও সাড়া দিল। আমার ঠোঁঠ জোড়া তরী চুসতে লাগল।
.
হটাৎ কে যেন আমাকে পিছন মারলো। আমি তরীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম। পিছনে তাকিয়ে দেখি, রিমি দাঁড়িয়ে আছে। ইসসস, তাড়াহুরোয় দরজা লাগাতে ভুলে গেছি। রিমি আমার দিকে কিছুক্ষণ রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে থেকে ঠাস করে একটা চড় মারলো। আমি ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলাম। রিমি চড়টা এত জোরে মেরেছে আমার চাপার ২টা দাঁত পর্যন্ত হিলে গেছে।
শুধু চড় মেরেও রিমি ক্ষান্ত হলো না। সেই সাথে আমার মাথার বড় বড় চুল টেনে ধরে মুখটা তার কাছে নিয়ে আসলো।
.
চলবে..... ??????
0 Comments