.
রিমি আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চোখ
বন্ধ করে নিলো। লম্বা শ্বাস নিয়ে বলতে লাগলো,
.
-- আমি ত.... (রিমি)
.
রিমি পুরো কথাটা বলার আগেই হটাৎ কে যেন
আমার কাধে হাত রাখলো।
আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি, রিপা দাঁড়িয়ে আছে।
রিপাকে দেখে আমি প্রায় চমকে উঠলাম।
এই পাগলী মেয়েটা এখানে এসেছে কেন.?
.
-- কি ব্যাপার রিপা, তুমি এখানে.! (আমি)
.
-- হুমম। কেমন আছো, ভাইয়া.? (রিপা)
.
-- ভালো, তোমার কি অবস্থা.? (আমি)
.
-- খুব ভালো.! (রিপা)
.
বলেই রিপা আমার বাম পাশে বসলো।
খেয়াল করলাম রিমি এতে অনেক বিরক্ত হলো।
মুখ কালো করে অন্যদিকে তাকালো।
আমি রিপার উদ্দেশ্যে বললাম,
.
-- হঠাৎ কলেজে এলে কেন.? (আমি)
.
-- তোমার সাথে দেখা করতে। কেন আসতে
মানা আছে নাকি.? (রিপা)
.
-- সেটা না, তোমার তো বিকালে আসার
কথা ছিল। (আমি)
.
-- ভালো লাগছিলো না তাই এখনি চলে এলাম।
তা তোমরা দুজন এখানে কি করছো.? (রিপা)
.
-- এইতো বসে গল্প করছি। জানো, রিমি নাকি একটা
ছেলেকে ভালবাসে.! (আমি)
.
-- What.? রিমি আপু কাউকে ভালোবাসে.?
এটাও সম্ভব.? (রিপা)
.
-- আমিও সেটাই ভাবছিলাম কিভাবে সম্ভব.?
কিন্তু আফসোস রিমি সত্যি কথা বলছে। (আমি)
.ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- ওহ। আচ্ছা রিমি আপু তুমি কাকে ভালবাসো.? (রিপা)
.
রিপার কথা শুনে রিমি ভ্রু কুঁচকে তার দিকে তাকালো।
চোখ-মুখ শক্ত করে বিরস গলায় বলল,
.
-- সেটা জেনে তোরা কি করবি.? তোদের এত
উৎসাহ কিসের.? (রিমি)
.
-- আজব তো, আমাদের বললে কি এমন ক্ষতি হবে.?
আমরা কি বাইরের কেউ নাকি.?
তুই নিশ্চিতে বল, বিষয়টা আমাদের মাঝেই
গোপন থাকবে। (আমি)
.ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
--  বলবো না। প্লিজ, তোরা আমাকে বিরক্ত করিস
না তো। (রিমি)
.
কথাটা বলেই দিবি অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিল।
আমি রিমির কানের পিটের চুলগুলো জোরে টেনে
দিয়ে বললাম,
.
-- কি ব্যাপার, হঠাৎ এমন রেগে-রেগে কথা
বলছিস কেন.?
একটু আগেই তো সব ঠিক ছিল। (আমি)
.
-- আমার ভালো লাগছে না। বাড়ি যাবো, চল। (রিমি)
.
-- এখনি বাড়ি গিয়ে কি করবি.? তার চেয়ে বরং
এখানে বসে গল্প করি। (আমি)
.
-- ঠিক আছে তোরা গল্প কর, আমি গেলাম। (রিমি)
.ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
বলেই রিমি হাটা দিলো। বাধ্য হয়ে আমি আর
রিপাও, রিমির পিছে পিছে যেতে লাগলাম।
রিমি আগে আগে হাটছে আর আমরা পিছে
পিছে হাটছি।
.
রিমি হাটছে আর একটু পরপর পিছন ফিরে
আমাদের দিকে তাকাচ্ছে।
চেহেরা দেখে বেশ বুঝতে পারছি, রিমি অনেক
রেগে আছে। কিন্তু তার রেগে যাওয়ার কারণটা খুজে
পাচ্ছি না।
আমি রিমির সাথে কথা বলতে গিয়েও বললাম না।
এখন কিছু বললেই রেগে যাবে।
.
-- শাহিন ভাইয়া, আমাকে আজ কেমন
দেখাচ্ছে.? (রিপা)
.
রিপার কথা শুনে তার দিকে তাকালাম।
এতক্ষণে আমি খেয়াল করলাম রিপা আজ অনেক
সুন্দর করে সেঁজেছে। আবার শাড়িও পড়েছে.!
আমি অবাক গলায় বললাম,
.
-- আজ হটাৎ শাড়ি পড়েছো যে.? (আমি)
.
-- শাড়ি পড়লে নাকি মেয়েদের বড় দেখায় তাই পড়েছি।
আচ্ছা, আমাকে কি বড় দেখাচ্ছে.? (রিপা)
.
-- উহু, পিচ্চি পিচ্চি লাগছে। (হেসে)
.
-- ধ্যাত, মিথ্যা কথা। এখানে আসার সময় মা
বলল, আমার নাকি বিয়ের বয়স হয়ে গেছে।
শাড়ি পড়ে আমাকে একদম বউ বউ দেখাচ্ছে.! (রিপা)
.
-- তাই নাকি.? (আমি)
.
-- হুমম। (রিপা)
.ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- এত তাড়াতাড়ি বিয়ে.? বয়স কত চলছে
তোমার.? (আমি)
.
-- বলবো না। মেয়েদের বয়স জানতে নেই।
আমাকে পিচ্চি দেখালেও খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে
করবো। (লজ্জামাখা হাসি দিয়ে)
.
-- তাহলে তো মামাকে পাত্র দেখার জন্য
বলতে হয়। (আমি)
.
-- বলতে হবে না। পাত্র আমি অনেক আগেই
ঠিক করে রেখেছি.! (মুচকি হেসে)
.
-- বাপরে.! এত ফাস্ট.? তুমি দেখছি এই বয়সেই
অনেক পেকে গেছো.!
এসব বাদ দিয়ে পড়ালেখায় মন দাও, বুঝলে.? (আমি)
.
-- পড়ালেখা করি তো কিন্তু বিয়েটাও
তো জরুরি। (রিপা)
.
-- আচ্ছা বিয়ে কইরো। দোয়া করি তোমার যেন
আমার আগে বিয়ে হয়.! (মজা করে)
.
-- আগে না, আমাদের দু'জনের বিয়ে
একসাথে হবে.! (রিপা)
.
-- কি.? (চমকে উঠে)
.
-- কিছু না। (শয়তানি হাসি দিয়ে)
.
-- ফাইজলামি একটু কম করো। এই বয়সেই যা
পেকেছো, আরেকটু বড় হলে যে কি করবে
আল্লাহ্ জানে.! (বিরক্ত হয়ে)
.
-- স্যরি.! (মন খারাপ করে)
.
-- হুমম। (আমি)
.ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
রিপার সাথে কথা বলতে বলতে বাড়ির কাছাকাছি
চলে এলাম।
এর মাঝে রিমির সাথে একবারও কথা হয় নি।
আমি যখন রিপার সাথে গল্প করছিলাম, রিমি তখন
বারবার পিছনে তাকিয়ে আমাদের দেখছিল।
আমাকে কিছু একটা বলতে চাচ্ছিল কিন্তু বলে নি।
.
বাড়িতে ঢুকেই রিমি হনহন করে তার ঘরে চলে গেল।
আমি রিমিকে এতবার ডাকলাম কিন্তু সে শুনলো না। বুঝলাম না, রিমি হটাৎ রাগ করলো কেন.?
রিপা আসার আগ পর্যন্ত তো রিমি স্বাভাবিক ছিল।
নাকি আবার দু'জনের মর্ধ্যে ঝগড়া হয়েছে.? কে জানে.?
.
আমি রিপার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে ফ্রেশ
হতে গেলাম। দুপুর প্রায় হয়ে গেছে।
ফ্রেশ হয়ে সবাই মিলে খেতে বসলাম।
আজ খাওয়ার সময় রিমি নিরব।
রিপা একাই ছাগলের মত বকবক করে যাচ্ছে।
অন্যান্য দিন, রিমি খাওয়ার সময় অনেক শয়তানি করে। গত রাতেও শয়তানি করেছে কিন্তু আজ মহারাণীর কি হয়েছে আল্লাহ্ জানে। খাবারও খাচ্ছে না।
এক লোকমা ভাত মুখে দিয়ে একশ একবার ভাত
নাড়াচাড়া করছে।
আমি কিছু বলার আগেই পাশে থেকে মা বলল,
.
-- আমার আম্মাজানের আজ কি হয়েছে.?
কথা বলছে না কেন.? (মা)
.
-- এমনি। ভাল লাগছে না, আম্মু। (রিমি)
.
-- কেন কি হয়েছে.? শাহিনের সাথে আবার ঝগড়া
করেছিস নাকি.? (মা)
.
-- না। (রিমি)
.
-- তাহলে মন খারাপ কেন.? (মা)
.
-- তোমার আম্মাজান ছ্যাকা খেয়েছে তাই
মন খারাপ। (আমি)
.
আমার কথা শুনে রিমি আমার দিকে রাগী ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
লুক নিয়ে তাকালো।
ভেবেছিলাম গালি-টালি দিবে কিন্তু কিছু বলল না।
আমিও আর আগ বারিয়ে কিছু বললাম না।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘরে এসে শুয়ে পড়লাম।
.
এদিকে,
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রিপা আর রিমি ড্রইংরুমে
বসে আছে। রিপা, রিমির থেকে একটু দূরেই বসেছে।
কেউ কোন কথা বলছে না।
রিমি বসে ফোন টিপছে আর রিপা চুপ করে রিমির
দিকে তাকিয়ে আছে।
কিছুক্ষণ পর রিপা, রিমিকে ডাক দিলো,
.
-- রিমি আপু.? (রিপা)
.
-- হুমম। (রিমি)
.
-- তোমাকে একটা কথা বলার ছিল। (রিপা)
.
-- বল কি কথা। (ভ্রু-কুঁচকে)
.
-- আসলে, আমি একটা ছেলেকে ভালবাসি.! (ভয়ে ভয়ে)
.
রিপার কথা শুনে রিমি চোখ পাকিয়ে তাকালো।
কড়া গলায় রিপাকে বলল,
.
-- এই বয়সেই ভালবাসা.? বয়স কত তোর.? (রিমি)
.
-- ইয়ে মানে ১৮ চলছে। (রিপা)
.
-- এই বয়সেই ভালবাসার কি বুঝিস তুই.? (রিমি)
.
-- আপু, তুমিও তো একজনকে ভালবাসো.!
আমি তো সেখানে বাধা দিইনি তাহলে তুমি আমাকে
বাধা দিচ্ছো কেন.?
তুমি আমার বড় আপু, তাই তোমার সাহায্য নিতে
এসেছি কিন্তু সাহায্য করার বদলে তুমি আমাকে জ্ঞান
দিচ্ছো। (মন খারাপ করে))
.
রিমি কিছু বলল না। সে অন্য খেয়ালে ব্যস্ত।
রিপার কথা এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে
বের করে দিচ্ছে। কিছু সময় চুপ থেকে রিপাকে বলল,
.
-- আমার পাশে এসে বস। (রিমি)
.
-- না, তুমি মারবে.! (রিপা)
.
-- মারবো না, আয় বস। (রিমি)
.
-- না, যাবো না। (ভয়ে ভয়ে)
.
-- এখন এত ভয় পাচ্ছিস কেন.? গতকাল রাতে
ফোনে তো অনেক সাহস আর গরম দেখাচ্ছিলি তাহলে এখন কি হলো.? (রিমি)
.
-- দূর থেকে সবাই সাহস দেখাতে পারে।
কাছে আসলে সাহস ফাটা বেলুনের মত
চুপসে যায়। (রিপা)
.
-- বুঝলাম। এখন আমার কাছে আয়, কথা
আছে। (রিমি)
.
রিপা ভয়ে ভয়ে রিমির পাশে এসে বসলো।
রিমি বিরস গলায় রিপাকে বলল,
.
-- কাকে ভালবাসিস তুই.? (রিমি)
.
-- শাহিন ভাইয়াকে.! (রিপা)
.
রিপা নির্দ্বিধায় কথাটা বলে ফেলল। কোন সংকোচ বা
জড়তা কাজ করছে না রিপার মর্ধ্যে। বেশ স্বাভাবিক
আছে সে।
এদিকে,
রিপার কথা শুনে রিমি চোখ বড় বড় করে তার ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
দিকে তাকালো। রিমির আগেই একটু সন্দেহ করেছিল
কিন্তু ভাবেনি এটা সত্যি হবে।
রিমি অবাক বিস্ময়ে বলল,
.
-- কি বললি.! শাহিনকে ভালবাসিস.? (রিমি)
.
-- হ্যাঁ। আমি শাহিন ভাইয়া কে খুব ভালবাসি.!
তুমি আমার হয়ে শাহিন ভাইয়াকে আমার ভালবাসার
কথাটা বললে খুব ভালো হবে।
আমি শাহিন ভাইয়াকে বলার সাহস পাচ্ছি না।
প্লিজ আপু, আমার এই হেল্পটা করো.! (রিপা)
.
রিমি এবার সাথে সাথে রিপার গালে চড় মারলো।
কঠিন গলায় বলল,
.
-- মাথা ঠিক আছে তোর.? শাহিন তোর ভাই
হয় না.? (রিমি)
.
রিমির এমন আচরণে রিপা অনেক ভয় পেল।
রিপা জানতো রিমি আপু এসব শুনলে রাগ করবে
কিন্তু এতটা করবে সেটা ভাবে নি।
রিপা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
.
-- তুমি আমাকে মারো-কাটো, যা খুশি করো কিন্তু
আমার শাহিন ভাইকেই চাই.! (রিপা)
.
-- কানের নিচে লাগাবো একটা চড়.! শাহিন তোর
থেকে অনেক বড়। এটা সম্ভব না। (রিমি)
.
-- সম্ভব, সবই সম্ভব.! তুমি প্লিজ শাহিন ভাইয়াকে
আমার কথাটা বলো।
আমি শাহিন ভাইয়াকে অনেক ভালবাসি.!
তাকে বিয়ে করতে চাই.! আর আমি জানি শাহিন
ভাইয়াও আমাকে মেনে নিবে। (রিপা)
.
রিপার কথা শুনে রিমির মাথা চক্রর দিলো।
পাগলী মেয়ে বলে কি.! রিমি আবার রিপার গালে
চড় মারলো। থুতনি চেপে ধরে কড়া গলায় বলল,
.
-- আর এতবার এসব পাকনামি কথা বললে একদম
মেরে ফেলবো.! এখনো দুধের দাঁত পড়ে নি তাতেই বিয়ে.!
পড়ালেখার তো নামগন্ধ নেই। এবার ফেল করলে SSC তে
হ্যাট্রিক ফেল করা হয়ে যাবে আর উনি আছে বিয়ে নিয়ে। মেরে একদম তক্তা বানাবো তোকে.! (রিমি)
.
-- তুমি আমাকে যা খুশি করো কিন্তু শাহিনের থেকে
আলাদা করতে পারবে না। (রিপা)
.
রিপার কথা শুনে রিমি আবার তাকে মারতে
গেল কিন্তু মারলো না।
রিমি জানে, রিপার মাথায় একটু সমস্যা আছে।
প্রচন্ড জেদি এবং একরোখা মেয়ে রিপা।
যেটা করতে মানা করবে, সেটাই করবে।
রিমি এসব ভেবে নিজেকে একটু শান্ত করার চেষ্টা
করলো কিন্তু পারলো না। ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
রিপার দিকে কিছুক্ষণ নিষ্পলক ভাবে তাকিয়ে
থেকে দাঁত কিড়মিড় করে বলল,
.
-- ভালো চাইলে আমার সামনে থেকে চলে যা।
না হলে সত্যি সত্যি কিন্তু মেরে ফেলবো। (রিমি)
.
-- বুঝতে পেরেছি, তুমি আমার হেল্প করবে না।
ঠিক আছে, আমি সরাসরি শাহিন ভাইয়ার সাথে
কথা বলবো। (রিপা)
.
-- আমার মাথা গরম করাইস না রিপা।
পরিণাম ভালো হবে না কিন্তু.! (রিমি)
.
-- কি করবে তুমি.? বড় বলে যা খুশি করবে নাকি.?
আচ্ছা, শাহিন ভাইয়াকে ভালবাসা নিয়ে তোমার
এত প্রবলেম কিসের.?
এমনভাবে রিয়েক্ট করছো যেন শাহিন ভাইয়াকে
তুমি ভালবাসো। (রিপা)
.
-- বেশি পাকনামি না করে এখান থেকে যা।
নয়তো এক্ষুণি চাচ্চুকে ফোন করে সব বলবো।
আর চাচ্চু যদি এসব জানে তাহলে তোর কি অবস্থা
করবে জানিস নিশ্চয়.? (রিমি)
.
বাবার কথা শুনে রিপা লম্বা ঢোক গিলল।
পৃথিবীতে একমাত্র বাবাকেই ভয় পায় রিপা।
রিপা কিছুক্ষণ ঝিম মেরে বসে থেকে চলে যেতে লাগলো।
দরজার কাছে গিয়ে রিমির উদ্দেশ্যে বলল,
.
-- কাজটা তুমি ঠিক করলে না, রিমি আপু।
তোমাকে আমি দেখে নিবো.! (রিপা)
.
কথাটা বলেই রিপা হনহন করে চলে গেল।
রিপা যেতেই রিমি একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
যাক, আপদটাকে এখনকার মত বিদেয় করা গেছে।
রিমি যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো।
.
কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার পর রিমি শাহিনের
ঘরে গেল। দেখে, শাহিন ঘুমিয়ে আছে।
রিমি, শাহিনের মাথার পাশে গিয়ে বসলো।
কপালে আলতো করে চুমু খেল।
তারপর শাহিনের মাথায় মাথার হাত বুলিয়ে
দিতে লাগলো।
.
.
.
রাতে সবাই মিলে খেতে বসেছি তখন দেখি, বাবা
অফিস থেকে ফিরলো। হাতে অনেকগুলো মিষ্টির প্যাকেট।
মুখে মিষ্টি হাসি লেগে আছে।
বাবা মিষ্টির প্যাকেটগুলো টেবিলে রেখে চেয়ারে
বসল। মা খাবার বাড়তে বাড়তে বাবাকে বলল,
.
-- আজ এত দেরি করে বাড়ি ফিরলে যে.?
আর এত মিষ্টি এনেছো কেন.? (মা)
.
-- মা, নিশ্চয় বাবার প্রমোশন হয়েছে। (আমি)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- আরে, সেটা না। তোর বিয়ে ঠিক
করে এলাম.! (বাবা)
.
বাবার কথা শুনে আমি হাজার ভোল্টের
শক্ খেলাম.! বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে এসেছে.?
.
.
.
চলবে..... ???