আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে

আমি বাইক চালাচ্ছি আর তানজু পিছনে বসে আছে । ইশশশ যদি আমার কাঁধে বা কোমড়ে ধরতো তাহলে কতোই না রোমান্টিক কাপল লাগতো । শালীর মনে কোনো রস নেই । থুক্কু হেতি তো আমার বউ লাগে ।
পিছনে বসে আছে কোনো কথা বলছে না । শুধু মাঝে মাঝে ডান দিকে বাম দিকে বলে পথ দেখাচ্ছে । কেমডা লাগে??
সামনে একটা স্প্রিড ব্রেকার। আমায় মাথায় হালকা একটু দুষ্টুমি চাপলো।
আমি স্প্রিড ব্রেকারে ব্রেকে কোনো প্রকার চাপেই দেই নি । তানজু আর আমার মাঝে প্রায় চার আঙুল দূরত্ব ছিলো।
ও ছিটকে এসে আমার গায়ের উপর পড়লো।
তানজুঃ এটা কি করলেন?
আমিঃ আমি আবার কখন কি করলাম?
তানজুঃ আপনি ওখানে ব্রেক করলেন না কেন?
আমিঃ আপনি তো ব্রেক করতে নিষেধ করছেন । ওহহ এর মানে টা এটা ছিলো তাহলে?
তানজুঃ মানে কি? কিসের মানে কি ছিলো?
আমিঃ আপনি ভালো করেই জানতেন রাস্তায় স্প্রিড ব্রেকার আছে আর তাই জন্য আমায় ব্রেক করতে নিষেধ করছেন যাতে সেই সুযোগে আপনি আমার সাথে ধাক্কা লাগতে পারেন। বুঝি তো সবাই বুঝি।
তানজুঃ শুনুন
আমিঃ আপনি শুনুন আমার দেহ মন সব আমার ভালোবাসার জন্য। আপনি ভুলেও নজর দিবেন না ।
তানজুঃ আমি আপনার মতো
আমিঃ আমার মতো কি? আমার মতো ছেলেকেই এতদিন মনে প্রাণে চেয়ে এসেছেন?
তানজুঃ আমার বয়েই গেছে।
আমিঃ তাহলে কি হ্যাঁ?
তানজুঃ আমি আপনার মতো ফালতু ছেলে কখনো দেখি কি।
আমিঃ তাই বুঝি? এই ফালতুর থেকেই সাহায্য নিতে হচ্ছে ।
তানজুঃ আপনি বাইক থামান আমি নেমে যাবো।
আমিঃ হ্যাঁ আমায় তো পাগলা কুত্তায় কামড়ে দিছে যে আমি আপনাকে নামাই দেই আর আপনি গিয়ে আন্টিকে বলেন এরপর আমি বকা শুনি। কোনো দরকার নেই । আর কতদূর সেটা বলেন
তানজুঃ আজব গ্রহের প্রাণী আপনি। মানব পর্যায়ে পড়েন না আপনি ।
আমিঃ আমি জানি তো আমি মানব পর্যায়ে পড়ি না। সেই জন্য আমি তো মহামানব । হিহিহি
তানজুঃ হাসবেন না। আমার গা জ্বলে যায়।
আমিঃ তাহলে গায়ে পানি ঢেলে দিবো কি?
তানজুঃ এইখানে দাড়ান।
আমিঃ তাহলে এখানেই পরীক্ষা।
( তানজু নামলো বাইক থেকে আর আমিও বাইকটা ঘুরিয়ে নিলাম )
তানজুঃ হুম । আর পানি ঢেলে দিবেন মানে কি?
আমিঃ ভিজে শরীরে আপনাকে অনেক সুন্দর লাগে ।
( কথাটা বলেই আর কে আমায় পায়)
হাতের কাছে পেলে সিয়র আজ আমার চল্লিশার তারিখ ঠিক করে ফেলতো। তবে বাসায় না জানি কি করে ।
আমি বাসায় এসে রুমে যাচ্ছি। দেখি আন্টি রান্না করছে ।
আমিঃ আন্টি একা একা রান্না করছো যে আম্মু কই?
আন্টিঃ ঘুমায়।
আমিঃ ওহহ আচ্ছা । আমি আসবো সাহায্য করতে?
আন্টিঃ আয়।
আমি রান্নাঘরে আসলাম । আন্টিকে টুকিটাকি সাহায্য করছি।
আন্টিঃ তুই তো অনেক লক্ষী ছেলে সব কাজ পারিস।
আমিঃ হুম । এজন্যই তো বলছি জামাই বানাই নাও। তোমার মেয়ের কপাল খুলে যাবে।
আন্টিঃ তুই হঠাৎ আমার মেয়ের পিছনে পড়লি কেন?
আমিঃ মনে ধরছে শাশুড়ী আম্মা ।
আন্টিঃ ঐ হারামজাদা আমি তোর শাশুড়ী লাগি?
আমিঃ এখন হয়তো লাগো না কিন্তু পড়ে তো ঠিকই শাশুড়ী হবা হিহিহি।
আন্টিঃ আহারে ছেলের শখ কতো।
আমিঃ শুধু শখ না। তোমার মেয়েকেই বিয়ে করে তোমায় শাশুড়ী বানাবো।
আন্টিঃ তুই কি সিরিয়াস?
আমিঃ তো কি মজা মনে হচ্ছে ? অবশ্যই আমি সিরিয়াস।
আন্টিঃ আচ্ছা ঠিক আছে। তুই যদি আমার মেয়েকে পটাতে পারিস তাহলে তোর সাথেই তানজুর বিয়ে দিবো।
আমিঃ সত্যি? ওকে ডান।
আন্টিঃ ওকে । এই কথা তুই আর আমি ছাড়া কেউ যেন না জানে। এটা সিক্রেট মিশন ।
আমিঃ ওকে ।
আন্টিঃ তোর যদি কোনো সাহায্য লাগে তাহলে বলবি আমায়।
(((আমার টাইমলাইনে একদিন আগে গল্প দেয়া হয়, যারা গল্প পরতে চান আমার আইডি থেকে পড়তে পারেন।)))ধন্যবাদ
আমিঃ আমার থেকে তো দেখি তোমার ইন্টারেস্ট এ বেশি কাহিনী কি হ্যাঁ?
আন্টিঃ তোর আম্মু আমার বান্ধবী। আর তোর সাথে যদি আমার মেয়ের বিয়ে দেই তাহলে আমাদের সম্পর্ক টা আরও গভীর হয়ে যাবে। আর তাছাড়া তুই ছেলে হিসাবে তো
আমিঃ থাক থাক। আর পাম মারতে হবে না । বুঝতে পারছি আমি ।
আন্টিঃ কিন্তু আমার মনে হয় না তুই পটাতে পারবি।
আমিঃ মেয়ে না পটুক মেয়ের মা তো পটে গেছে । এবার মেয়ের বাবাকে পটাবো তারপর মেয়ে। হিহিহি।
আন্টিঃ কথায় কথায় এভাবে হাসবি না তো।
আমিঃ কেন হিংসা হয়? আমার মতো হতে চাও?
আন্টিঃ কাজ নেই তো আমার । যা ফ্রেশ হয়ে খেতে আয়।
আমিঃ আচ্ছা ।
রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে এসে খাওয়া করে আবার রুমে এসে মোবাইল চাপা শুরু করলাম । বেশ কিছু সময় মোবাইল চাপার পর মোবাইল বুকের উপর রেখেই ঘুমিয়ে পরলাম ।
হঠাৎ করে খুব চেচামেচির শব্দ শুনে ঘুমটা ভেঙে গেলো।
কি রে কি হলো আবার? বউ কি পালালো নাকি?
আন্টি আমার রুমে এসে ঢুকলো।
আমিঃ আন্টি কি হইছে?
আন্টিঃ ফাজিল ছেলে তুই তানজুকে কি বলেছিস?
আমিঃ আমি? কখন কোথায়? আমি তো কিছু বলি নি ।
আন্টিঃ তাহলে ও এতো রেগে গেছে কেন তোর উপর?
আমিঃ আমি কি জানি।
আন্টিঃ তুই কিছু জানিস না এবার ঠেলা সামলা আসতিছে তোর রুমে একটু পরে । আজ তোর বারোটা বাজিয়ে দিবে।
আমিঃ সেটা না হয় দেখা যাবে । বউয়ের রাগ কন্ট্রোল করতে হবে সেটা এখন থেকেই প্রাকটিস করে রাখা ভালো।
আন্টিঃ অনেক রেগে আছে উল্টো পাল্টে কিছু বলিস না কিন্তু ।
আমিঃ হুম ।
আন্টি চলে গেল । আমি বসে বসে তানজুকে কন্ট্রোল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
একটু পরে তানজু আমার রুমে আসলো।
তানজুঃ তুই আসার সময় আমায় কি বলছিলি হ্যাঁ?
আমিঃ কেন শোনেন নি?
তানজুঃ আর যদি আমার সাথে কখনো বেয়াদবি করিস তাহলে তোকে আমি ক্ষুণ করে ফেলবো
আমিঃ সেটা না হয় পড়ে বুঝবো কিন্তু আমায় এটা বলুন কারো পারমিশন ছাড়া তার রুমে আসা এটা কি বেয়াদবি নয়? নাকি এটা ডিজিটাল ভদ্রতা?
তানজুঃ এটা আমার বাসা। আমি যখন খুশি যে রুমে ইচ্ছে যাবো তাতে কার কি?
আমিঃ ওহহ তাই বুঝি। ঠিক আছে থাকুন আপনার রুমে আপনি । যখন বের হয়ে যাবেন তখন আমায় বইলেন।
তানজুঃ মানে??
আর কিছু না বলে চলে আসলাম ছাদে। কারণ আমি যতই কথা বলবো ও ততই ঝগড়া করার জন্য লাফালাফি করবে সো দরকার নেই ।
তানজু আমার পিছনে পিছনে ছাঁদে আসলো।
আমিঃ এই আপনার সমস্যা কি হ্যাঁ ? আমি জানি আমি অনেক হ্যান্ডসাম তাই জন্য কি আমার পিছনে পিছনে ঘুরতে হবে নাকি। আরে বাবা আপনাদের বাসাতেই তো আছি যখন খুশি রুমে এসে দেখে যাইয়েন । তবুও এখন পিছনে পিছনে ঘুরবেন না। মানুষ শুনলে এসব নিয়ে কি কম কথা বলবে বলুন ।
তানজু দাঁত কটমট শব্দ করছে । রাগ মনে হয় হাই লেভেল উঠে গেছে । আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো
তানজুঃ তোকে আমি পরে দেখে নিবো।
আমিঃ ফোনে কি একটা ছবি তুলে দিবো?
আমার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে নিচে চলে গেল ।
যাক বাবা কোনো রকম হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম ।।
.

আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে
.

আমি ছাঁদে দাড়িয়ে গুনগুন করে গান বলছি। সেই সময় আন্টি আসলো।
আন্টিঃ কি রে কি বললো?
আমিঃ তোমার মেয়ের সাহস আছে আমায় কিছু বলবে ?
আন্টিঃ তাই না।
আমিঃ হ্যাঁ । আর জামাই কে কেউ কখনো কিছু বলতে পারে বলো।
আন্টিঃ তোদের বিয়ে দিলে তোরা তো সারাদিন রাত ঝগড়া করবি শুধু ।
আমিঃ আরে না । রোমান্স ও করবো। নয়তো তোমরা নাতি নাতনির মুখ কেমনে দেখবা?
আন্টিঃ লজ্জা শরমের মাথা কি ধুয়ে খাইছিস?
আমিঃ ধোঁয়ার সময় নাই । তাই না ধুয়েই খেয়ে নিছি। হিহিহি।
আন্টিঃ এখন বল তুই ওকে কি বলছিস?
আমিঃ তেমন কিছু না । কিন্তু যেটা বলছি সেটা বলা যাবে না সিগারেট থুক্কু সিক্রেট ।
আন্টিঃ তুই আমার মেয়েটার পিছনে লাগছিস কেন বলতো?
আমিঃ আমার বউয়ের পিছনে আমি লাগছি তাতে তোমার কি?
আন্টিঃ যা শুরু করছিস এতে আর বউ বানানো লাগবে না ।
আমিঃ কেন?
আন্টিঃ পটাতেই পারবি না ।
আমিঃ তোমার মেয়ের উপর তোমার ভরসা না থাকতে পারে কিন্তু আমার উপর আমার ভরসা আছে । আর না পটাতে পারলে তোমার মেয়ে কে যেখানে খুশি বিয়ে দিও সমস্যা নেই ।
আন্টিঃ হুম । তো তুই এখানে কি করিস?
আমিঃ দাড়িয়ে আছি দেখতেই তো পাচ্ছো। তো তোমার গুণধর বান্ধবী কই?
আন্টিঃ নিচে বসে আছে । আয় নিচে যাই।
আমিঃ হুম চলো।
আন্টি আর আমি নিচে আসলাম । আম্মু বসে টিভি দেখছে । মহিলাদের তো এই একটাই কাজ সিরিয়াল দেখা।
আমিঃ তুমি কি আমায় সিরিয়াল দেখার জন্য নিয়ে আসলা?
আন্টিঃ না। বস গল্প করি।
আমিঃ কি গল্প করবো? এর থেকে তুমি সিরিয়াল দেখো আমি রুমে যাই।
আন্টিঃ আচ্ছা ।
আমি রুমে আসলাম। এরপর শুধু একবার বের হয়ে রাতের খাওয়া করে আবার রুমে এসে শুইয়ে পরলাম ।
শুয়ে শুয়ে মোবাইল গুতোচ্ছি
সেই সময় আম্মু আসলো।
আমিঃ আসেন আসেন। যাই হোক অবশেষে আপনার দেখা মিললো।
আম্মুঃ হুম । কি করিস?
আমিঃ ঘোড়ার ঘাস কাটি । কাটবা?
আম্মুঃ তুই কাট আমার ঘোড়া নাই ।
আমিঃ হুম ।
আম্মুঃ শুনলাম একা একা নাকি বিয়ে ও ঠিক করে ফেলছিস?
আমিঃ কে বললো?
আম্মুঃ কে আবার আমার বান্ধবী । পছন্দ করিস নাকি?
আমিঃ হুম । মনে ধরছে একটু ।
আম্মুঃ তাহলে ওর আব্বুর সাথে কথা বলে বিয়ে ঠিক করে রাখি। আমার ও বাসায় একা একা ভালো লাগে না । বিয়ে দিলে আমার ও গল্প করার মানুষ হবে ।
আমিঃ হ। আর বউটাকে পালবে কে? ভরনপোষণ দিবে কে তোমার ছেলে তো টোটো কোম্পানির মালিক ।
আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে
আম্মুঃ তোর বাপ আছে কি করতে? তোর বাপ ভরনপোষণ দিবে ।
আমিঃ হুম। কিন্তু আমি তো প্রেম করে বিয়ে করবো ।
আম্মুঃ মানে?
আমিঃ মানে আগে আমি তানজুর সাথে প্রেম করবো তারপর বিয়ে করবো ।
আম্মুঃ তাহলে আর বিয়ে করতে হবে না তোকে ।
আমিঃ কেন?
আম্মুঃ তোর যা কোয়ালিটি জীবনে ও ওর সাথে প্রেম করতে পারবি না ।
আমিঃ হইছে থাক। তোমার আর মন ভাংতে হবে না । নিজের কাজ করো।
আম্মুঃ তানজুকে তোর সাথে কিন্তু ভালোই মানাবে । বানরের গলায় মুক্তর মালা।
আমিঃ অপমান করলা তো? ওকে আমিও অপমান বোধ করলাম না ।
আম্মুঃ হুম ।
আমিঃ আমার শ্বাশুড়ি আর আমার বউয়ের শাশুড়ী দুজনেই রাজি শুধু বউটাকে রাজি করার পালা।
আম্মুঃ জীবনে ও পারবি না। সারাদিন ঝগড়া করলে কোন মেয়ে তোকে ভালোবাসবে?
আমিঃ সেটা তোমায় চিন্তা করতে হবে না।
আম্মুঃ হুম । আচ্ছা ঘুমাও। আমি গেলাম।
আম্মু চলে গেল । এত সহজে সবাই মেনে নিবে সেটা ভাবি নি । তবে যাকে নিয়ে এতো কিছু সেই তো কিছু জানে না । পরে তানজু রাজি না হোক শেষে সব শেষ হয়ে যাবে। কোনো মেয়েকে যে এত তাড়াতাড়ি আমার ভালো লেগে যাবে সেটা কোনো দিন ভবি নি। কিন্তু এখন তো তানজুর কথা ভাবতেও ভালো লাগে । কিন্তু দেখা হলেই যেই কথা বলতে যাবো ঠিক তখনি ঝগড়া শুরু হয়ে যায় ।
এভাবেই কেটে গেলো দুই তিন দিন । পরশু দিন বিয়ে । আর আমাদের মাঝে ঝগড়া টা বেড়েই যাচ্ছে । আমি এখন তানজুর চোখের বালি হয়ে গেছি। ভাবতেই ভালো লাগে আমায় দেখলেই তানজু জ্বলতে শুরু করে।
এই কয়দিন তানজুর সাথে রোজ আমাকেই যেতে হতো। যদি ও বা ও যেতে চাইতো না কিন্তু আমি জোর করে নিয়ে যেতাম ।
বুঝতে পারলাম রাস্তায় তানজুকে একটা ছেলে বিরক্ত করে । আমার আবার এই জিনিস গুলো খুবই বাজে লাগে । এলাকায় ইভটিজার পেটানোর জন্য আমাদের গ্রুপ টা ফেমাস।
গতকাল ছেলেটাকে হালকার উপর ঝাপসা একটা থ্রেড করে আসছি। বলছি আর কোনো দিন যদি তানজুকে ডিস্টার্ব করতে দেখি তবে সোজা পুলিশের কাছে নিয়ে যাবো।
পাল্টা উত্তরে আমায় জিজ্ঞেস করছিলো আমি তানজুর কে হই।
সুযোগ পেতেই বলে দিসি আমি ওর হবু স্বামী ।
আজ আবার তানজু কে পৌঁছে দিতে যাচ্ছি । সারা রাস্তায় আমি বকবক করি। ও কোনো কথা বলে না ।
হঠাৎ দেখি রাস্তায় পুলিশ কাকুরা লাইসেন্স চেক করছে । আমার কাছে না আছে ড্রাইভিং লাইসেন্স আর না আছে গাড়ির কাগজ । আজ তু গায়া বেটা । এবার পালাবি কই। আজ গাড়ি পুলিশ কে দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় যেতে হবে । শালার শ্বশুর মশাই বাইক চালাতে দিলো কিন্তু লাইসেন্স দিলো না। এখন তো ঘুরিয়ে যাওয়াও যাবে না ক্রিমিনাল মনে করবে । কি হবে সেটা পরে দেখা যাবে ।
পুলিশ কাকু আমাদের বাইক থামালো।
পুলিশঃ লাইসেন্স দেখি
আমিঃ স্যার লাইসেন্স তো নেই ।
পুলিশঃ লাইসেন্স নাই আবার পিছনে মেয়ে নিয়ে ঘোরা হচ্ছে ।
তানজু পিছনে থেকে নেমে পুলিশের কাছে গেলো।
তানজুঃ আংকেল আমায় একটা সাহায্য করবেন ?
পুলিশঃ হ্যাঁ বলুন।
তানজুঃ আমি এই ছেলেটা কে চিনি না । জোর করে আমায় বাইকে উঠাইছে আমি উঠতে চাই নি । রোজ আমায় বিরক্ত করে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে । প্লিজ আংকেল আমায় সাহায্য করুন । ওর জন্য আমি বাসায় থেকে বের হতে পারি না ।
( আমি তানজুর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি)
পুলিশঃ তাহলে এই ব্যাপার। তুমি চিন্তা করো না । ইভটিজার কে কিভাবে ঠিক করতে হয় ভালো করে জানা আছে । তুমি যাও আমরা দেখছি।
তানজুঃ স্যার দেখবেন নেক্সট টাইম যেন আমায় আর বিরক্ত না করে ।
পুলিশঃ ও আর কোনো দিন কোনো মেয়ের দিকে তাকাতেই ভয় পাবে ওর সেই ব্যাবস্থা করবো।
তানজুঃ ধন্যবাদ আংকেল ।
তানজু চলে গেল । আমি তানজুর দিকে শুধু তাকিয়ে আছি । মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না । আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছি আর ভাবছি কাল যাকে ইভটিজার এর হাত থেকে বাঁচালাম আজ সেই আমায় ইভটিজার বানিয়ে দিলো।
পুলিশঃ কি রে এক তো লাইসেন্স নেই দুই আবার ইভটিজার । দেখতে তো মাশাল্লাহ হিরোর মতো । চরিত্র এমন কেন? চল থানায় গিয়া তোর খেদমত করবো এখন। ( আমার কলার ধরে)
আমি কিছু বলছি না তানজু চলে যাচ্ছে আমি শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি ।
কারণ এত সুন্দর করে গুছিয়ে মিথ্যা বলে কাউকে অপরাধী বানাতে এই প্রথম এতো কাছে থেকে দেখলাম । ।
আর বাকি রইলো পুলিশ কে বোঝানো
ফাকা রাস্তায় যদি একটা ছেলে একটা মেয়ের কাপড় ছিড়ে দেয় তাহলে পুলিশ এসে ছেলেটাকে ধরে নিয়ে যাবে। আবার যদি মেয়েটা নিজেই নিজের কাপড় ছিড়ে বসে থাকে তবুও পুলিশ এসে ঐ ছেলেটাকেই ধরে নিয়ে যাবে ।
তাই কিছু বলার থেকে নির্বাক হয়ে শুধু দেখাটাই আমার কাছে বেটার মনে হচ্ছে ।
.
..
...
....
...
..আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে
.
To be continue........