.
-- আরে এই ছবিগুলোর অনেকগুলো কপি
আমার কাছে আছে, তাই ডিলিট করে
কোন লাভ নেই।
খেল এখনও শেষ হয়নি বাবু, কেবল তো শুরু। (রিমি)
.
রিমির কথা শুনে আমার হাসি মুখটা
চুপসে গেল।
নিজেকে খুব বোকাবোকা মনে হতে লাগলো।
এই ছবি যদি রিমি সত্যি সত্যি ভাইরাল করে তাহলে
আমি শেষ.! আমি এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।
কিছুক্ষণ ভাবার পরও কোন উপায় খুজে পেলাম না।
বাধ্য হয়ে রিমিকে বললাম,
.
-- কত টাকা লাগবে তোর.? (আমি)
.
-- বেশি না মাত্র দুই হাজার টাকা.! (রিমি)
.
-- কি দুই হাজার টাকা.? (আমি)
.
-- হুমম, মশাই। (রিমি)
.
-- আমার কাছে এত টাকা নেই। একটু কম
কর, প্লিজ.! (আমি)
.
-- ঠিক আছে, কত দিতে পারবি বল.? (রিমি)
.
-- উমমম, ৫০০ টাকা দিব.! এর বেশি আমার
কাছে নেই। (আমি)
.
-- মাত্র ৫০০ টাকা.? থাক, লাগবে না তোর টাকা।
এর চেয়ে ভালো আমি ছবিগুলো নেটে
ছেড়ে দিই। (রিমি)
.
-- এই না, না এমনটা একদম করবি না।
আমি ১ হাজার টাকা দিব.! প্লিজ, এবার
রাজি হয়ে যা।
আমার মত ফকিরকে আর ফকির
বানাইস না। (আমি)
.
-- আচ্ছা, ১ হাজার টাকাই দে। (রিমি)
.
আমি আর কথা না বাড়িয়ে গোমড়া মুখে, মানিব্যাগ
থেকে ১ হাজার টাকার একটা কড়কড়ে নোট বের
করে রিমিকে দিলাম।
রিমি টাকাটা নিয়েই সেটাতে চুমু খেল।
তারপর মিষ্টি হেসে বলল,
.
-- থ্যাংকু, আমার শ্বশুড় আব্বার
শয়তান ছেলে। (রিমি)
.
-- ওই আবার আলতু-ফালতু কথা বলিস.?
এবার মাইর খাবি কিন্তু.! (আমি)
.
-- আচ্ছা, আর বলবো না। (রিমি)
.
-- হুমম, ছবিগুলো সব ডিলিট করে দিবি।
একটা কপিও রাখবি না।
যদি এসব ছবি কারও হাতে পরে, তাহলে মেরে
তোর ছামড়া ছাড়িয়ে নিবো। (চোখ গরম করে)
.
আমার কথা শুনে রিমি কিছু বলল না।
শুধু মাথা নাড়াল। আমি বললাম,
.
-- টাকা তো পেলি, এখন যা। (আমি)
.
-- যাচ্ছি, আর শোন তোর জন্য গরম ভাত
আর মাছের ঝোল রান্না করেছি.!
খাবার এখানে নিয়ে আসবো নাকি নিচে
গিয়ে খাবি.? (রিমি হাসিমুখে বলল)
.
-- এখন খাবো না। ক্ষিদে নেই। (আমি)
.ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- কেন.? তুই তো দুপুরে কিচ্ছু খাইস নি।
তাহলে ক্ষিদে নেই কেন.? (রিমি)
.
-- আসলে... আমি বাইরে থেকে
খেয়ে এসেছি। (আমি)
.
-- কি.? তুই আজকেও বাইরের খাবার খেয়েছিস.?
তোকে না বলেছি, বাইরের কোনো কিছু
খাবি না। সেদিন বাইরের খাবার খেয়ে তো পেট ব্যাথা
করছিল তোর। (প্রচন্ড রেগে)
.
-- আরে, আমি তো খেতে চাই নি কিন্তু বন্ধুরা
জোর করে খাইয়েছে।
আসলে আজকে ম্যাচটা জিতেছি, তার
উপর আজকে আবার অনেক টাকা বাজি.... (আমি)
.ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
আমি কথাটা বলতে গিয়েও থেমে গেলাম।
রিমি আমার দিকে ভ্রু-কুঁচকে তাকালো।
চোখ গরম করে বলল,
.
-- বাহ্.! বাবুর দেখছি ভালই উন্নতি হয়েছে.!
আজকাল বাজি ধরে খেলা হচ্ছে। (রিমি)
.
-- ইয়ে... মানে... আমি বাজি ধরি নি।
বন্ধুরা ধরেছিল আর আমি শুধু খেলেছি। (আমি)
.
-- থাক, আর মিথ্যা বলতে হবে না।
কত টাকা বাজি ধরেছিলি.? (রিমি)
.
-- বেশি না মাত্র ৫ হাজার টাকা.! (আমি)
.
-- খুব ভালো.! আজ বাজি ধরেছিস আর কয়েকদিন
পর মদ, গাজা, সিগারেট এসব খাবি.! (রেগে)
.
-- মানে কি.? এসব কেন খাবো.?
আর বাজি ধরার সাথে এসবের কি সম্পর্ক.? (আমি)
.
-- সম্পর্ক অবশ্যই আছে। এভাবেই তো একটা
ছেলে খারাপ হয়।
আর তো যে ওগুলা বন্ধু.! প্রত্যেকটাই একেকটা খৈটাল.!
ওদের সাথে থাকলে, তুই এমনিতেই খারাপ
হয়ে যাবি.! (রিমি)
.
-- সেটা আমার ব্যাপার। তুই যা।
আমাকে অত জ্ঞান দিতে হবে না। (আমি)
.
-- হুহ, ভালো কথা বললেই দোষ... (রিমি)
.
-- তোকে ভালো কথা বলতে বলছে কে.?
যা ভাগ... (আমি)
.
রিমি আর কিছু না বলে চলে গেল। আমি একটা
সস্তির নিঃশ্বাস ফেলে শুয়ে পরলাম।
চোখে একটু ঘুম-ঘুম ভাব এসেছে হটাৎ কে যেন
আমাকে ধাক্কাতে লাগলো। আমি চোখ মেলে দেখি রিমি।
আমি এবার চরম বিরক্ত হলাম
চোখ-মুখ কুচকে বিরক্তির সুরে বললাম,
.
-- কি হয়েছে.? ডাকছিস কেন.?
শান্তিমত একটু ঘুমাতেও দিবি না নাকি.? (আমি)
.
-- আগে খেয়ে নে, তারপর কত ঘুমাবি ঘুমা। (রিমি)
.
-- বললাম তো বাইরে খেয়েছি।
এখন খাবো না। (আমি)
.
-- না খেলে এক্ষুনি শ্বশুড় আব্বা থুক্কু আব্বুকে
ফোন করে বলবো তুই বাজি ধরে ক্রিকেট খেলেছিস,
সিগারেট খেয়েছিস, আমার সাথে মারামারি করেছিস
আর আমাকে খুব মেরেছিস.! (দুষ্টু হেসে)
.
রিমির কথা শুনে লাফ দিয়ে শোয়া থেকে
উঠে বসলাম। বললাম,
.
-- তুই এত কিছু বলবি.? সব-ই তো মিথ্যা কথা। (আমি)
.
-- সেটা তুই আর আমি জানি কিন্তু আব্বু তো
জানে না। তাছাড়া তুই তো জানিস আব্বু আমার
কথা অন্ধের মত বিশ্বাস করে।
এসব কথা বললে তোর কি অবস্থা হবে একবার
ভাব। উফফ, আব্বু তোকে ফুটবল বানিয়ে
কিক্ মারবে.! (রিমি)
.
রিমির এমন কথায় আমার চোখ-মুখ
শুকিয়ে গেল। বিরস গলায় বললাম,
.
-- এটা তো অন্যায়.! তুই আমাকে ফাসাচ্ছিস। (আমি)
.
-- ওহ্, এখন তাহলে এটা অন্যায়.?
আর আমি যে সকাল থেকে হাত পুড়িয়ে রান্না ম
করলাম সেটা কি.? (রিমি)
.
-- তো এখন আমাকে কি করতে বলছিস.? (আমি)
.
-- বেশি কিছু না। রান্না করেছি, চুপচাপ খা। (রিমি)
.
-- বিশ্বাস কর, আমার একটুও ক্ষিদে নেই। (আমি)
.
-- বাঁচতে চাইলে খা.! নায়তো এক্ষুণি আব্বুকে
ফোন করবো, হু.! (রিমি)
.
আমি কাতর গলায় রিমিকে
বললাম,
.
-- আমার পেট ফেটে যাবে তো.! (আমি)
.
-- ফাটলে ফাটুক.! আমি আছি কি করতে.?
সেলাই করে দিব। (রিমি)
.
কথাটা বলে রিমি একটু হাসলো। তারপর খাবারের
প্লেট আমার হাতে দিয়ে বলল,
.
-- চুপচাপ খা.! (রিমি)
.
আমি কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে চুপচাপ
খেতে লাগলাম।
.
-- রান্না কেমন হয়েছে.? (রিমি)
.
-- ভালই তবে খেতে ইচ্ছা করছে না। (আমি)
.
-- আবার কথা বলিস। (চোখ পাকিয়ে)
.
-- স্যরি.! আর বলবো না। (আমি)
.
আমি কোনো কথা না বলে খেতে লাগলাম।
খাবার মুখে ঢুকছে না তবুও জোর করেই ঢুকাচ্ছি।
খাবার গলা অব্দি উঠে গেছে।
হটাৎ রিমি বলে উঠল,
.ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- তুই এতো স্বার্থপর কেন.? (রিমি)
.
আমি খাওয়া থামিয়ে রিমির দিকে তাকালাম।
বিরস গলায় বললাম,
.
-- এখন আবার কি করলাম.?
খাচ্ছি তো.! (আমি)
.
-- একা একা খাচ্ছিস কেন.? (রিমি)
.
-- তুই-ই তো খেতে বললি।
খেলেও দোষ না খেলেও দোষ.? (আমি)
.
-- কুত্তা, একবার তো বললিও না, আমি খেয়েছি কিনা।
তা না বলে গরুর মত খেয়ে যাচ্ছিস.! (রিমি)
.
-- কেন, তুই খাইস নি.? (আমি)
.
-- না। (রিমি)
.
-- কেন.? খাবার কি সব শেষ হয়ে গেছে নাকি.? (আমি)
.
-- কুত্তা, ভেবেছিলাম তুই আর আমি একসাথে খাবো।
কিন্তু তুই যে এত স্বার্থপর জানতাম না।
খালি নিজের কথা ভাবিস.! (রিমি)
.
-- আচ্ছা, বাবা স্যরি.! যা খাবার নিয়ে
আয়, একসাথে খাবো... (আমি)
.
-- দরকার নেই। তোর ওখান থেকে খাইয়ে দে.! (রিমি)
.
-- আমি খাইয়ে দিবো.? (আমি)
.
-- তা নয় তো কি.? আমি তোর জন্য রান্না
করতে পারলে তুই আমাকে খাওয়াতে পারবি না.? (রিমি)
.
-- পারবো কিন্তু তোর মত বুড়িকে খাওয়াতে
ইচ্ছা করছে না। (আমি)
.
-- দেখ, এখন আমার ঝগড়া করার একদম
ইচ্ছা নেই। সকাল থেকে অনেক কাজ করেছি।
ক্ষিদের জ্বালায় পেট চো-চো করছে।
প্লিজ, খাইয়ে দে.! (রিমি)
.
-- ঠিক আছে, আয় খাইয়ে দিচ্ছি.! (আমি)
.
আমার কথা শুনে রিমি অনেক খুশি হলো।
সামান্য হেসে আমার পাশে বসলো।
আমি এক লোকমা ভাত রিমির মুখের সামনে ধরলাম।
রিমি ছোট বাচ্চাদের মত খেতে লাগলো।
.
আমি খেয়াল করলাম, রিমির চোখের কোণায় পানি
চিকচিক করছে। এই বুঝি কেঁদে দিবে।
আমি ভ্রু-কুঁচকে রিমিকে বললাম,
.
-- তোর চোখে পানি কেন.? (আমি)
.
রিমি তাড়াহুরো করে চোখের পানি মুছে সামান্য
হেসে বলল,
.
-- ও কিছু না। তরকারিতে ঝাল বেশি হয়েছে তো, তাই
ঝালের কারণে চোখে পানি চলে এসেছে। (রিমি)
.
-- কে বলল, তরকারিতে ঝাল বেশি হয়েছে.?
সবকিছু ঠিক-ই তো আছে। (আমি)ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
.
-- হুররউ, বাদ দে তো। আয় এবার আমি তোকে
খাইয়ে দেই। (রিমি)
.
-- আমাকে খাওয়াতে হবে না। তুই খা। (আমি)
.
-- চুপ কর তো... (রিমি)
.
রিমি আমাকে জোর করে নিজের হাতে খাওয়াতে
লাগলো। যদিও আমার ক্ষিদে নেই কিন্তু কেন জানি
রিমির খেতে খেয়ে আমার ক্ষিদে বেড়ে গেল।
আমি আর রিমিকে বাধা দিলাম না। চুপচাপ তার হাতে
খেতে লাগলাম।
.
আমি রিমিকে এক লোকমা খাবার খাইয়ে দিচ্ছি
আবার রিমিও আমাকে এক লোকমা খাবার খাইয়ে দিচ্ছে।
খাওয়া শেষ করে রিমি হাসিমুখে চলে গেল।
আমি এবার নিশ্চিতে শুয়ে পড়লাম। যেই-সেই চিন্তা
করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি নিজেও জানি না।
.
ঘুম ভাঙলো সন্ধ্যার সময় ফোনের শব্দে।
ফোন হাতে নিয়ে দেখি, আমার বন্ধু রিফাত ফোন
করেছে। আমি ফোন রিসিভ করে কানে ধরলাম।
রিফাতকে খোচা মেরে বললাম,
.
-- কি ব্যাপার রিফাত বাবু, আজ হটাৎ ফোন
দিলেন যে.?
সূর্য আজ সকালে কোন দিক থেকে উদয়
হয়েছিল শুনি.? (আমি)
.
-- কেন, আমি কি আমার বন্ধুকে ফোন দিতে
পারি না.? (রিফাত)
.
-- অবশ্যই পারিস... (আমি)
.
-- তাহলে খোচা মেরে কথা বলছিস কেন.? (রিফাত)
.
-- না মানে, তুই সবসময় মিসড কল ছাড়া কল
দিস না তো, তাই বললাম। (আমি)
.
-- বাদ দে তো ওসব। কই আছিস.? (রিফাত)
.
-- বাড়িতে। কেন.? (আমি)
.
-- আড্ডা দিতে আসবি না.? (রিফাত)
.
-- না, রে। শরীরটা খুব ব্যাথা করছে।
আজকে আর কোথাও যাবো না। (আমি)
.
-- ওহ্। দোস্ত, একটা কথা বলবো.? (রিফাত)
.
-- বাব্বাহ্.! আজকাল অনমুতি নিয়ে কথা
বলছিস দেখছি.! এত উন্নতি হলো কিভাবে.?
তা বল কি কথা বলবি। (আমি)
.
-- ছোট্ট একটা হেল্প লাগবে। করবি.? (রিফাত)
.
-- হুমম, বল। এমনি এমনি তো আর তোরা
ফোন দিবি না।
যখন বাঁশ দেওয়ার সময় হবে তখন দিবি। (আমি)
.
-- এভাবে বলছিস কেন.? তুই আমার বন্ধু, তোর কাছে
হেল্প চাইবো না তো কার কাছে চাইবো.? (রিফাত)
.
-- আচ্ছা, স্যরি.! বল, কি হেল্প.? (আমি)
.
-- ইয়ে... মানে, তুই তো জানিস আমি শিলাকে
পছন্দ করি.!
বলতে গেলে আমি শিলাকে ভালবাসি.! (রিফাত)
.
-- কোন শিলা বে.? আমাদের কলেজে যে
নতুন মেয়েটা এসেছে সে নাকি.? (আমি)
.
-- হুমম। (রিফাত)
.
-- তো আমাকে কি করতে বলছিস.? (আমি)
.
-- বেশি কিছু না। তুই শিলার ফোন
নাম্বারটা ম্যানেজ করে দিতে পারবি.? (রিফাত)
.
-- ও মোর খোদা.! তুই এই জামানায় ফোন নাম্বার
নিয়ে পরে আছিস.?
আরে, বেকুব শিলার ফেসবুক আইডি খুজে
রিকু পাঠা। (আমি)
.
-- আমি খোজ নিয়ে জেনেছি, শিলা ফেসবুক
ইউজ করে না।
আর তাছাড়া শিলা আমাদের এলাকায় নতুন সেজন্য কারও কাছে ওর ফোন নাম্বারটাও নাই
তুই একটু দেখ না, প্লিজ.! (রিফাত)
.
-- শালা, আমি শিলার ফোন নাম্বার কই
পাবো.? (আমি)
.
-- রিমির কাছে থাকতে পারে। রিমি তো শিলার বান্ধবী.!
রিমিকে একটু বলে দেখ না। প্লিজ, দোস্ত.! (রিফাত)
.
-- পাগল নাকি.? রিমির কাছে নাম্বার চাইলে সে
আমাকে মেরে ভর্তা বানাবে।
তুই তো জানিস, রিমি কেমন.! শুধু শুধু ঝগড়া করে।
আমি পারবো না। আমাকে ক্ষমা কর.! (আমি)
.
-- প্লিজ, দোস্ত.! তুই না আমার বন্ধু.!
আমার এই হেল্পটা করবি না.? (রিফাত)
.
-- আচ্ছা, করবো কিন্তু ১ হাজার টাকা লাগবে।
দিলে করবো না হলে নাই। এখন বল, দিবি.? (আমি)
.
-- শালা, এই কথাটা প্রথমে বললে কি হতো.?
ফোন রাখ, বিকাশে টাকা পাঠাচ্ছি।
শালা, ধরিবাজ.! (রিফাত)
.
আমি ফোন কেটে দিয়ে শয়তানি হাসি দিলাম।
বন্ধুর টাকা মেরে খাওয়ার মজায় আলাদা।
আমি ফোন রেখে দিয়ে রিমির কাছে গেলাম
শিলার নাম্বার নিতে।
রিমির ঘরে গিয়ে দেখি রিমি পড়ছে।
আমি রিমির পাশে গিয়ে বসলাম।
.
-- কি করিস.? (আমি)
.
-- ঘোড়ার ঘাস কাটি। (রিমি)
.
-- কিন্তু তুই তো পড়ছিস... (আমি)
.
-- তাহলে জিজ্ঞেস করছিস কেন, যখন দেখতেই
পাচ্ছিস কি করছি। (খুব রেগে)
.
-- কি ব্যাপার রে, এত রেগে আছিস কেন.? (আমি)
.
-- তো কি করবো.? পড়াশোনার তো নাম নাই।
সারাদিন শুধু খাওয়া, ঘুম আর টো-টো করে ঘুরে
বেড়ানো। সন্ধ্যা বেলা পড়াশোনা বাদ দিয়ে পরে পরে
ঘুমাচ্ছিস। কেন, একটু পড়াশোনা করলে কি হয়.?
আর কয়েকদিন পর যে পরীক্ষা সে খেয়াল
আছে তোর.? পরীক্ষায় কি লিখবি শুনি.? (রিমি)
.
-- তোরটা দেখে লিখবো। (আমি)
.
-- কচু দেখাবো। ভাগ এখান থেকে। (রেগে)
.
-- রাগ করছিস কেন.? পড়বো তো.! (আমি)
.
-- কবে পড়বি শুনি.? ফাকিবাজ একটা.! (রিমি)
.ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- সময় হলে পড়বো। এখন তোর ফোনটা
একটু দে। (আমি)
.
-- কেন, কি করবি.? (রিমি)
.
-- দরকার আছে, দে... (আমি)
.
-- আগে বল, কি দরকার.! (ভ্রু-কুঁচকে)
.
-- একটা নাম্বার নেওয়া লাগবে। (আমি)
.
-- কার নাম্বার.? (আমার কাছে এগিয়ে এসে)
.
-- সেটা জেনে তুই কি করবি.? ফোন দিতে
বলছি দে... (আমি)
.
-- আগে বল, কার নাম্বার। তারপর দিবো... (রিমি)
.
-- শিলার নাম্বার.! তোর কাছে আছে.?
থাকলে দে তো, প্লিজ.! (আমি)
.
শিলার কথা শুনে রিমি কিছু সময় আমার দিকে
চেয়ে রইলো। তারপর হুট করে আমার শার্টের
কলার চেপে ধরলো।
আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম।
কিছু বলার আগেই রিমি চোখ পাকিয়ে বলল,
.
.
.
চলবে..... ?????