.
.
আমার একটু সন্দেহ হলো। আমি জোর করে রিমির হাত থেকে ফোনটা ছিনিয়ে নিলাম। ফোনের স্কিনের দিকে তাকাতেই আমার চোখ কপালে উঠে গেল। রিমি যে এত খারাপ আমার জানা ছিল না। আমি চোখ বড় বড় করে ফোনের দিকে তাকিয়ে রইলাম। রাগে আমার শরীর জ্বলে যাচ্ছে। আজ আমার একদিন আর রিমির যতদিন লাগে.!
.
কত্ত বড় শয়তান.! রিমি আমার বন্ধু রিফাত'কে মেসেজ দিয়ে বলেছে, আমার বিয়ে ভাঙতে পারলে রিফাত'কে ২০ হাজার টাকা দিবে। বিয়ের আগের দিন যেন তরী'কে কিডন্যাপ করে.! আর যদি তরী'কে কিডন্যাপ করতে না পারে তাহলে আমাকে মেরে হাত-পা যেন ভেঙে দেয়। যাতে আমি বিয়ের আসরে বসতে না পারি।
.
এসব দেখে রাগে আমার শরীর আগুনের মত দাউদাউ করে জ্বলছে। শেষে আমার সন্দেহ'টাই ঠিক হলো। আমি ধমক দিয়ে বললাম,
.
-- এসব কি, হ্যাঁ.? (আমি)
.
-- দেখতেই তো পাচ্ছিস। (রিমি)
.
-- তোর মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে.? আমার বিয়ে ভাঙতে চাচ্ছিস কেন.? আর কোন হিসেবে তুই আমাকে মারার জন্য আমার-ই বন্ধুকে টাকা দিতে চাস.! (আমি)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
আমি অনেকটা ধমক দিয়েই কথাগুলো বললাম। ভেবেছিলাম, রিমি হয়তো ভয় পাবে কিন্তু কিসের কি... রিমি একদম স্বাভাবিক আছে। আমার কথা শুনেও রিমি কোন প্রতিক্রিয়া দেখালো না। ভাবখানা এমন, যেন এসব ঘটনা রোজ রোজ ঘটে। রিমির চুপ করে থাকা দেখে রাগটা আরো বেড়ে গেল। আমি বাজখাঁই গলায় বললাম,
.
-- কি হলো বল, আমার বিয়ে ভাঙতে চাচ্ছিস কেন.? (আমি)
.
-- তরী'কে আমার পছন্দ না। যদি তরী'কে বিয়ে করতে চাস তাহলে শুধু হাত-পা ভাঙা নয় তোর গলা কেটে ফেলতেও আমি দ্বিধাবোধ করবো না। (রিমি)
.
রিমি আমার চোখে চোখ রেখে উচু গলায় বলল। আমি বেশ হলাম। যে মেয়েটা কাল অব্দি আমার সামনে দাঁড়াতে ভয় পেত সে-ই আজ আমার সামনে উচু গলায় কথা বলছে। আবার হুমকিও দিচ্ছে। আমি কিছু বলার আগেই রিমি আবার বলে উঠল,
.
-- সেদিন আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলি মনে আছে.? তোর বিয়ে নাকি আমি ভাঙতে পারবো না। দেখিস, তোর বিয়ে আমি ভেঙেই ছাড়বো নয়তো আমার নাম রিমি না। (রিমি)
.
-- আমি তো সেদিন মজা করে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। তুই সেটা সিরিয়াসলি নিছিস.? (আমি)
.
-- হুমম। চ্যালেঞ্জটা আমি জিতবোই.! (রিমি)
.
-- কাজটা কিন্তু ভাল করছিস না, রিমি। এর পরিণাম কিন্তু ভাল হবে না বলে দিলাম। (আমি)
.
-- সেটা পরে দেখো নিব। আপাতত তোর বিয়েটা ভাঙার ব্যবস্থা করি। (দুষ্টু হাসি দিয়ে)
.
আমি রাগে কাঁপতে কাঁপতে রিমির কাছে দু'পা এগিয়ে গেলাম। চড় মারতে যাব তার আগেই রিমি আমার হাত ধরে ফেলল। চোখ গরম করে বলল,
.
-- খবরদার বলছি.! আমার গা'য়ে হাত তোলা তো দূরের কথা, ছুঁয়ে দেখলেই অবস্থা খারাপ করে দিব। হাত কিন্তু আমার ও আছে। আমি ও মারতে পারি। (রিমি)
.
-- তুই আমাকে মারবি.? ভালই সাহস বেড়েছে দেখছি। (আমি)
.
-- তুই আমাকে মারতে পারলে আমি কেন পারব না। গা'য়ে হাত দিয়ে দেখ, চিৎকার করে লোকজন ডেকে গণধোলায় খাওয়াবো। (রিমি)
.
-- তোকে আমি দেখে নিব। আমার সাথে পাঙ্গা নেওয়া.! তুই আমাকে চিনিস না। (আমি)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- তুই ও আমাকে চিনিস না। ভাবতেও পারবি না আমি কতটা ডেঞ্জারাস.! তাই সবার সামনে অপমানিত হতে না চাইলে বিয়েটা ভেঙে দে। (রিমি)
.
-- পেত্নী কোথাকার, তুই আমাকে হুমকি দিস.! তোকে আজ আমি মেরেই ফেলবো। (আমি)
.
কথাটা বলে আমি যেই রিমি'কে মারতে যাবো তার আগেই রিমি আমার গালে ঠাস করে চড় মারলো। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি তব্দা খেয়ে গেলাম। কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না। গালে হাত দিয়ে চোখ বড় বড় করে রিমির পানে তাকিয়ে রইলাম। রিমি চেঁচিয়ে বলল,
.
-- বলেছি না, গা'য়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করবি না। বের হ আমার ঘর থেকে, না হলে আরও মাইর খাবি.! (রিমি)
.
-- কাজটা তুই ঠিক করলি না। (আমি)
.
কথাটা বলেই আমি রাগে ফুসতে ফুসতে রিমির ঘর থেকে বেরিয়ে আসলাম। কত্ত বড় সাহস, আমাকে চড় মারে.! আবার কিছু বলাও যায় না। রিমি'কে আমি পরে দেখে নিব। আগে ভালই ভালই বিয়েটা হয়ে যাক।
.
.
পরের দিন দুপুরবেলা আমি, মা আর বাবা তরী'দের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বসে আছি। আজ তরী'কে আঙটি পরিয়ে বিয়ে পাকা করে আসবে এবং সামনে শুক্রবারে বিয়ে হবে। কিন্তু রিমির আসার কোন খবর নেই। সেই সকাল ১০টা থেকে সাঁজতে বসেছে কিন্তু এখনো তার সাঁজা শেষ হয়নি।
.
আমি মা'কে কতবার করে বললাম, রিমি'কে সাথে নেওয়ার কোন দরকার নেই কিন্তু মা আমার কথা কানেই তোলেনি। উল্টো ধমক দিয়ে বলেছে, রিমি না গেলে বিয়েটা হবে না। রিমি নাকি বিয়ের সব আয়োজন করবে। কিন্তু মা বুঝতে পারছে না, রিমি সাথে গেলেই বিয়েটা হবে না। ও হয়তো আমার বিয়েটা ভাঙার জন্যই সেখানে যাচ্ছে। রিমি এখনো নিচে আসছে না দেখে মা বলল,
.
-- দেখ তো, রিমি রেডি হয়েছি কি-না। যা, ওকে গিয়ে নিয়ে আয়। আমি গিয়ে দেখি, তোর মামা আর মামীরা এসেছে কি-না। (মা)
.
আমি ইচ্ছা না থাকা সত্তেও রিমির ঘরের সামনে গেলাম। দরজায় নক করার সাথে সাথে রিমি ভিতর থেকে বলে উঠল,
.
-- কে.? (রিমি)
.
-- আমি শাহিন। আর কতক্ষন লাগবে তোর রেডি হতে.? (বিরক্ত হয়ে)
.
-- এই তো প্রায় হয়ে গেছে। তুই বাইরে দাঁড়িয়ে
কেন, ভিতরে আয়। দরজা খোলাই আছে। (রিমি)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- না থাক, আমি এখানেই ঠিক আছি।
তুই জলদি রেডি হ। (আমি)
.
-- আরে, ভিতরে আয় তো। (রিমি)
.
আমি দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলাম। রিমির দিকে তাকাতেই আমার মাথা চক্রর দিয়ে উঠল। রিমি একদম উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার পরণে একটা সুতাও নেই।
.
চলবে.... ??????


======================================

ডেঞ্জারাস মামাতো বোন (পার্ট-28)romantic love story
.
.
-- না থাক, আমি এখানেই ঠিক আছি। তুই জলদি রেডি হ। (আমি)
.
-- আরে, ভিতরে আয় তো। (রিমি)
.
আমি দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলাম। রিমির দিকে তাকাতেই আমার মাথা চক্রর দিয়ে উঠল। রিমি একদম উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার পরণে একটা সুতাও নেই।
.
রিমি'কে এই অবস্থায় দেখে আমি সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। ঘরে ঢুকেই যে এমন কিছু দেখতে হবে কল্পনা করি নি। আমি চিৎকার দিয়ে বলে উঠি,
.
-- তুই কি পাগল হয়ে গেছিস.? এভাবে উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে আছিস কেন.? (আমি)
.
-- দেখছিলাম কোন শাড়ি'টা পড়বো আর ওমনি তুই এসে দরজায় নক করলি। (রিমি)
.
-- তাহলে ভিতরে আসতে বললি কেন.? তোর একটুও কমনসেন্স নাই। (প্রচন্ড রেগে)
.
-- আরে, এত রেগে যাচ্ছিস কেন.? আমরা আমরাই তো। (হাসতে হাসতে)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- তাই বলে আমাকে উলঙ্গ হয়ে শরীর দেখাবি.? মাথামোটা একটা.! তাড়াতাড়ি শরীর ঢাক... (আমি)
.
-- কোন কালারের শাড়ি পড়বো.? (রিমি)
.
-- আমাকে জিজ্ঞেস করছিস কেন, যা ইচ্ছা পর। (আমি)
.
-- তুই তো কালো রঙের পাঞ্জাবি পড়েছিস। তাহলে আমিও কালো রঙের শাড়ি পরি কেমন.? (রিমি)
.
-- ঠিক আছে, তাড়াতাড়ি পর। (আমি)
.
-- কিন্তু আমি তো পড়তে পারবো না। সকালে বাথরুমে পিছলে পরে গিয়ে হাতে প্রচন্ড ব্যথা পেয়েছি। (রিমি)
.
-- ও আল্লাহ.! এ কোন মুসিবতে পরলাম। ঠিক আছে, তাহলে অন্তত ব্লাউজ আর পেটিকোট পরে শরীর ঢাক। (দাঁতে দাঁত চেপে)
.
-- আচ্ছা কিন্তু ব্লাউজের হুক লাগাতে পারবো না। পিছনে হাত যাবে না। তুই একটু লাগিয়ে দিস। (রিমি)
.
আমি কিছু বললাম না। উল্টোদিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে রইলাম। একবার ভাবলাম, দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাই কিন্তু পালাতে গিয়ে আবার যদি রিমির দিকে নজর যায় তখন আরেক সমস্যা।
আমি দাঁড়িয়ে থেকে এসব চিন্তা করছিলাম তখন রিমি
বলে উঠল,
.
-- হয়ে গেছে, এখন আমার ব্লাউজের হুকটা লাগিয়ে দে। (রিমি)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
আমি রিমির দিকে তাকালাম। রিমি কালো রঙের হাতকাটা ব্লাউজ আর কালো পেটিকোট পরে দাঁড়িয়ে আছে। পোটিকোট'টা নাভির একটু নিচে পরাতে রিমির সুগভীর নাভির অতল গহ্বর স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি রিমির ফর্সা পেট যেন হিরের মত চকচক করছে। আমি একদৃষ্টিতে রিমির পেটের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
.
-- কি হলো, কি দেখছিস.? হুকটা লাগিয়ে দে.! (রিমি)
.
রিমির ডাকে ভাবনায় ছেদ ঘটে আমার। আমি সাথে সাথে দৃষ্টি সরিয়ে নেই। তারপর রিমির পিছনে গিয়ে দাঁড়াই আমি। তখনি রিমি বলে উঠে,
.
-- এই শাহিন, আমার নাভি'টা বেশি সুন্দর নাকি তরীর.? (রিমি)
.
রিমির কথা শুনে আমি চমকে উঠি। থতমত খেয়ে যাই খানিকটা।
.
-- কি বললি তুই.? (আমি)
.
-- কিছু না। তুই জলদি হুকটা লাগিয়ে দে। শাড়ি পড়তে হবে আবার। (রিমি)
.
আমি আর কথা না বারিয়ে ব্লাউজের হুক লাগানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ব্যর্থ হই। রিমির পিঠের মাঝ বরাবর আমার দৃষ্টি পরতেই চোখ আটকে যায়। রিমির ফর্সা পিঠের মাঝে ছোট্ট একটা তিল.! রিমির মোহনীয় শরীরে কি সুন্দর ভাবেই না জায়গা করে নিয়েছে তিলটা। আমি কেবল তাকিয়েই রইলাম।
জানি না আজ আমার কি হয়েছে। রিমির সবকিছুই যেন নতুন নতুন লাগছে।
.
-- এভাবে তাকিয়ে কি দেখছিস.? আমার পিঠের তিলটা খুব সুন্দর তাইনা.? (রিমি)
.
রিমির কথা শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই। এই মেয়ের পিছনেও চোখ আছে নাকি.? আমি তাড়াতাড়ি ব্লাউজের হুক লাগিয়ে রিমির সামনে এসে দাঁড়াই। রিমি কোমল স্বরে বলে,
.
-- আমার শাড়ি'টা একটু পড়িয়ে দে। (রিমি)
.
-- মাথা খারাপ নাকি.! আমি পারবো না। মা'কে ডাকছি, মা'র কাছে পড়িয়ে নিস। (আমি)
.
কথাটা বলে আমি তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে চাই কিন্তু পারি না। রিমি আমার হাত টেনে ধরে। তারপর কাছে টেনে আদুরে গলায় বলে,
.
-- আম্মু পারবে না, তুই একটু পরিয়ে দে না.! আমার হাতে খুব ব্যথা, একা একা পরতে পারবো না। (রিমি)
.
-- তোকে কেন পরিয়ে দিব.? কাল রাতে আমার সাথে কি করেছিস মনে নেই.? তুই এখন আমার শত্রু.! (রেগে)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- আরে কুল কুল, এত রেগে যাচ্ছিস কেন.? আমি কাল'কে একটু মজা করেছিলাম। (রিমি)
.
-- এটা কোন ধরণের মজা.? তুই ছোট হয়ে আমাকে চড় মেরেছিস.! (আমি)
.
-- তার জন্য স্যরি.! আসলে একজনের খুব রেগে ছিলাম আর সেই রাগ'টা তোর উপর ঝেরেছি। (রিমি)
.
-- সেটা বুঝলাম কিন্তু তুই আমার বন্ধু রিফাত'কে আমার বিয়ে ভাঙার জন্য মেসেজ দিয়েছিস কেন.? (আমি)
.
-- এমনি, দুষ্টুমি করে। আমার তোর বিয়ে ভাঙার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। আমি তোর বন্ধু রিফাত'কে পরীক্ষা করার জন্য মেসেজ দিয়েছিলাম। কিন্তু তোর বন্ধু রিফাত কি বলেছে জানিস.? সে বলেছে, তোর বিয়ে ভাঙার জন্য ২০ হাজার না ৫ হাজার টাকা দিলেই হয়ে যাবে। (রিমি)
.
-- কি রিফাত এটা বলেছে.? শালাকে একবার হাতের কাছে পাই, মেরে পাছার ছাল তুলে নিব.! (আমি)
.
-- আচ্ছা করিস। এখন আপাতত আমাকে শাড়িটা পড়িয়ে দে। এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। এখনো কত্ত কাজ বাকি। জানিস, তোর বিয়ের পুরো দায়িত্ব আব্বু আমাকে দিয়েছে। তাই আমার কথা না শুনলে বুঝতেই পারছিস কি হবে। (শয়তানি হাসি দিয়ে)
.
আমি আর কথা বাড়ালাম না। কিন্তু কেন জানি মনে হচ্ছে রিমি মিথ্যাে বলছে। নিশ্চয় মনে মনে কিছু একটা গন্ডগোল পাকাচ্ছে।
.
-- কি হলো, কি ভাবছিস.? (রিমি)
.
-- কিছু না। আমি অত ভালো করে শাড়ি পড়াতে পারি না। (আমি)
.
-- সমস্যা নাই। যেভাবে পারিস ওভাবেই পড়িয়ে দে। (রিমি)
.
আমি কালো শাড়ি'টা নিয়ে রিমির সামনে হাঁটু মুড়ে বসি। শাড়ির এক মাথা রিমির হাতে দিয়ে অন্য মাথা রিমির সরু কোমড়ের ভাজে গুজে দেই। আমার হাতের স্পর্শ পেতেই রিমি কেমন করে যেন শিউরে উঠে। প্রচন্ড শক্ত করে আমার কাধ চেপে ধরে হাত জোড়া দিয়ে।
.
এদিকে,
শাড়ি পড়াতে গিয়ে বারবার আমার চোখ জোড়া রিমির ফর্সা পেটের দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে, রিমির সুগভীর নাভিটা আরো বেশি আকর্ষণ করছে আমাকে। ইচ্ছা করছে, রিমির ফর্সা পেট'টা আলতো করে একটু ছুঁয়ে দেই কিন্তু কোথায় যেন সংকোচ কাজ করে।
.
আমি আমার লাইফে একটা কাজ-ই একদম পারফেক্ট এবং স্মুথলি করতে পারি। সেটা হলো কাউকে শাড়ি পড়ানো। কিন্তু রিমির লোভনীয় পেট আর নাভির জন্য সেটাতেও আজ ব্যর্থ হচ্ছি।
এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে আমি অন্য দিকে মুখ ঘুড়িয়ে শাড়ি পড়াতে থাকি। রিমি সেটা খেয়াল করে এবং জোর করে তার দিকে আমার মুখ ঘুরায়। মিষ্টি কন্ঠে বলে উঠে,
.
-- আজ এত লজ্জা পাচ্ছিস কেন.? সেদিন তো সব দেখে নিয়েছিলি। (রিমি)
.
-- কোন দিন.? (রিমির দিকে মাথা তুলে)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- ওই যে, বাথরুমে গোসল করার সময় তুই নক না করেই ঢুকে পড়েছিলি সেদিন। (রিমি)
.
-- সেদিন তো ভুল করে দেখে ফেলেছিলাম। কিন্তু আজ তো তুই নিজের ইচ্ছায় দেখাচ্ছিস। (আমি)
.
-- সমস্যা নাই। অন্য কেউ তো আর দেখেনি। যা দেখার তুই-ই দেখেছিস। আর শোন, আমার পেটে কিস করতে চাইলে করতে পারিস। আমি কিছু মনে করবো না। (মিষ্টি হাসি দিয়ে)
.
-- তুই আসলেই একটা শয়তান। আমার হাতে মাইর খেতে না চাইলে চুপ করে থাক। (গম্ভির গলায়)
.
-- আমি তোর জায়গায় হলে এতক্ষণে শুধু কিস না, অনেককিছু করে ফেলতাম। (রিমি)
.
-- আমি তোর মত লুচ্চা না যে এসব করার কথা চিন্তা করবো। (বুক ফুলিয়ে)
.
-- তুই লুচ্চার বাপ.! সেজন্যই তো লুকিয়ে লুকিয়ে আমার পেট, পিঠ আর নাভি দেখা হচ্ছে.! না জানি সুযোগ পেলে আর কি কি দেখবি। (রিমি)
.
আমি আর কিছু বলার সাহস পেলাম না। আমার চুরি ধরা পড়ে গেছে। তাই রিমির শাড়ি পড়ানোর দিকে মন দিলাম।
শাড়ি পড়ানো শেষে আমি যখন শাড়ির কুচিগুলো রিমির নাভির নিচে গুজে দিতে যাব তখনি সে আমার হাত চেপে ধরে। কাঁপাকাঁপা গলায় বলে,
.
-- এইটুকু আমাকেই করতে দে। তুই কুচি গুজে দিলে আমি আর কন্ট্রোল করতে পারবো না। (রিমি)
.
কথাটা বলে রিমি উল্টোদিকে ঘুরে শাড়ির কুচিগুলো নাভির নিচে গুজে দিল। আমি বসা থেকে উঠে দাঁড়াই। রিমি শাড়ির আঁচল ঠিক করতে করতে আমার সামনে
এসে বলে,
.
-- আমার কপালে একটা টিপ আর চোখে কাজল দিয়ে দে.! (রিমি)
.
-- এটাও আমাকে করে দিতে হবে.? (বিরক্ত হয়ে)
.
-- হুমম, অবশ্যই। কয়েকদিন পর তো নিজের বউকে পড়িয়ে দিবি। আজকে না হয় আমাকে পড়িয়ে দে। (রিমি)
.
আমি টিপের পাতা থেকে একটা কালো টিপ নিয়ে রিমির কপালে পড়িয়ে দিলাম। তারপর রিমির কথামত চোখে গাড় করে কাজল দিয়ে দেই। কাজল দেওয়ার সময় রিমি আমার দিকে অপলক নয়নে চেয়ে থাকে। কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারে না সে।
.
অতঃপর রিমি আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। নিজেকে খুটিয়ে খুটিয়ে ভালো করে দেখে। আমি রিমির পিছনে দাঁড়িয়ে আয়নায় তার প্রতিবিম্ব দেখি। রিমি আমার দিকে ফিরে মুচকি হেসে বলে,
.
-- একটা কথা বল তো, আমি বেশি সুন্দর নাকি তরী.? (রিমি)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
রিমির প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি না আমি। তার হাত ধরে টানতে টানতে ড্রইংরুমে নিয়ে আসতে থাকি।
সত্যি বলতে, রিমি'কে আজ এত সুন্দর লাগছে তা ভাষায় বা লিখে প্রকাশ করা যাবে না। কালো শাড়িতে রিমির দুধে-আলতা অঙ্গ যেন ফুটে উঠেছে। মনে হচ্ছে, রিমি কোন প্রজাপতি যাকে ধরার সাধ্য আমার নেই। এতটাই অপূর্ব লাগছে রিমি'কে.!
.
রিমি'কে নিয়ে ড্রইংরুমে এসে দেখি, বড় মামা, মেঝো মামা, ছোট মামা এবং সাথে মামীরাও চলে এসেছে। আমি সবার সাথে কুশল বিনিময় করি। তারপর তরী'দের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সবাই বাড়ি থেকে বের হই। বাড়ির বাইরে এসে দেখি, রিপা গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রিপার ও পরণে কালো শাড়ি। আমি এবার একটু অবাক হই। ব্যাপার কি, আজ শোক দিবস নাকি.? আমার দেখাদেখি সবাই কালো রঙের পোষাক পরেছে। এসব ভাবতে ভাবতে রিপার কাছে এগিয়ে যাই আমি। মুচকি হেসে বলি,
.
-- কেমন আছো, রিপা.? (আমি)
.
-- ভালো। শুনলাম, এক বিদেশিনী'কে বিয়ে করছো.? (রিপা)
.
-- বিদেশিনী.? ওহ, তরীর কথা বলছো। আরে, বিদেশে থাকলেই কেউ বিদেশি হয় নাকি.? (আমি)
.
রিপা মুখ ভেটকালো। দেখে মনে হচ্ছে, আমার বিয়েতে মোটেই খুশি নয় সে। না হওয়ার-ই কথা। হাজার হলেও রিমির বোন বলে কথা।
আমি আর কিছু না বলে গাড়িতে গিয়ে বসলাম। বড় মামা আর মেঝো মামা সামনে বসেছে। আমি পিছনের সিটে বসলাম। একটুপর দেখি, রিমিও গাড়িতে উঠে বসল।
.
-- তুই ও এই গাড়িতে যাবি.? মা'র সাথে ওই গাড়িতে যা। (আমি)
.
-- না, আমি এই গাড়ি করেই যাব। (রিমি)
.
-- ওকে, তাহলে তুই সামনে গিয়ে বস। মামা পিছনে এসে বসুক। (আমি)
.
-- এটা আমার বাবার গাড়ি তাই যেখানে ইচ্ছা সেখানে বসবো। তুই চুপ করে থাক। (রিমি)
.
বলেই রিমি আমার পাশে চেপে বসলো। এমন সময় দেখি, রিপাও গাড়িতে উঠে বসল। মিষ্টি হেসে বলল,
.
-- ভাইয়া, ওই গাড়িতে জায়গা নেই। মা এখানে বসতে বসলো। (রিপা)
.
আমি কি বলবো ভেবে পেলাম না। রিমি আমার ডানপাশে বসেছে আর রিপা আমার বামপাশে। আর দু'জনের মাঝখানে আমি চুপটি করে বসে আছি। গাড়িত পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা থাকা সত্তেও রিমি আর রিপা এমন ভাবে আমার পাশে চেপে বসে যে, মনে হচ্ছে আমাকে চ্যাপ্টা বানিয়ে ফেলবে।
.
একটুপর মামা গাড়ি স্টার্ট দিল। গাড়ি কিছুদূর যেতেই রিপা আমার দিকে ঢলে পড়ে গালে লম্বা একটা কিস করে বসে.! আমি চোখ বড় বড় করে রিপার দিকে তাকাই। কিছু বলার আগেই রিপা দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে উঠে,
.
-- ইসস, রাস্তার কি অবস্থা। মনে হচ্ছে, গাড়ি নয় ঘোড়ার উপর বসে আছি। (রিপা)
.
রিপার কথা বলা শেষ হতেই এবার রিমি আমার গা'য়ের উপর ঢলে পড়ে। তারপর আমার ঠোঁটে ঠোঁট জোড়া লাগিয়ে দেয়.! আমি নির্বাক হয়ে যাই।
.
চলবে..... ??????