.
রিমি প্রচন্ড রেগে গেছে। হটাৎ রিমি আমাকে ধাক্কা দিয়ে বেডে শুইয়ে দিল। তারপর আমার বুকের উপর বসে সর্বশক্তি দিয়ে আমার গলা টিপে ধরলো। আমার দম বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো।
.
আমি প্রাণপণে রিমির থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছি কিন্তু রিমির শক্তির সাথে পেরে উঠছি না। আমার বুকের বুকের উপর বসে আমাকে চেপে ধরেছে রিমি। রাগে তার শরীর কাঁপছে। আমি অনুনয় করে রিমি'কে ছেড়ে দিতে বলছি কিন্তু সে ছাড়ছে না।
.
অবশেষে অনেক কষ্টে রিমির থেকে ছাড়া পেলাম। রিমিকে ধাক্কা দিয়ে আমার বুকের উপর থেকে সড়িয়ে দিলাম। ধমক দিয়ে বললাম,
.
-- আমাকে মেরে ফেলার ইচ্ছা আছে
নাকি.? (আমি)
.
-- হুমম, তোকে মেরেই ফেলবো। আমার কষ্টে তুই
খুশি হোস কেন.? (কান্নার সুরে)
.
-- তাহলে কাঁদবো নাকি.? তাছাড়া কষ্ট তুই নিজের দোষে পেয়েছিস। এখানে আমার বিন্দুমাত্র দোষ নেই। আসলে তোর বোকামি দেখে আমার হাসি পাচ্ছে। প্লিজ মাইন্ড করিস না। (হাসতে হাসতে)
.
-- হেসে নে, যত খুশি হেসে নে। যেদিন তরী তোকে ছেড়ে যাবে সেদিন বুঝবি মজা। তোর সব হাসি বেরিয়ে যাবে। (রিমি)
.
রিমি দাঁতে দাঁত চেপে কথাটা বলল। আমি অবাক চোখে রিমির পানে তাকালাম। আতঙ্কিত গলায় বললাম,
.
-- তরী আমাকে ছেড়ে যাবে মানে.? কি বলতে চাইছিস তুই.? (আমি)
.
-- মানে খুব সোজা। তরীর সাথে তোর ব্রেকআপ হবে ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
আর বিয়েটা গোল্লায় যাবে.! (রিমি)
.
রিমির কথা শুনে হো-হো করে হেসে উঠলাম। তাচ্ছিল্যের হাসি যাকে বলে। রিমি উৎসুখ চোখে আমার দিকে তাকালো। হয়তো বুঝতে পারছে না আমি হাসছি কেন। আমি কোনমতে হাসি থামিয়ে বললাম,
.
-- সবাইকে নিজের মত ভাবিস না, রিমি। তরীর মত লক্ষ্মী মেয়ে জীবনেও আমাকে ছেড়ে যাবে না। তরী কে বউ করে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। ইনসাআল্লাহ আমার সেই ভাগ্যটা আছে। (আমি)
.
-- ও মা, তাই নাকি.? হা-হা-হা... (রিমি)
.
আমার কথা শুনে রিমিও এবার হাসা শুরু করে দিল। হাসতে হাসতে বেডে গড়িয়ে পরার মত অবস্থা। আমি ভীষণ অবাক হলাম। এই মেয়েটা হাসছে কেন.? এর তো কাঁদা উচিত। নাকি আমি ভুল করে কোন জোক্স শুনিয়ে দিয়েছি.?
এদিকে,
রিমি হাসছে আর মনে মনে বলছে, "তোর ভাগ্যে শুধু আমি-ই লেখা আছি, শাহিন। কথাটা মিলিয়ে নিস।"
.
রিমির হাসির কারণ খুজে পেলাম না আমি। ধমক দিয়ে বললাম,
.
-- পাগলের মত হাসছিস কেন.? (আমি)
.
রিমি ধমক খেয়ে মুখে হাত চেপে তার হাসি থামালো। আমতা আমতা করে বলল,
.
-- কিছু না, এমনি হাসছিলাম। (রিমি)
.
-- পাগল একটা। (বিরক্ত হয়ে)
.
-- উহু, ওটা পাগল না পাগলী হবে। (রিমি)
.
-- সে যাই হোক। শোন, আমি জানি তুই চাস না তরীর সাথে আমার বিয়েটা হোক। আবার বিয়েটা ভাঙার প্ল্যান করছিস। কিন্তু যত চেষ্টাই করিস, লাভ হবে না। তরী-ই আমার বউ হবে.! (আমি)
.
কথাগুলো বলে আমি উঠে দাঁড়ালাম। চলে আসতে যাবো তখন রিমি পিছন থেকে বলল,
.
-- কোথায় যাচ্ছিস.? (রিমি)
.
-- বাড়িতে। খুব ক্লান্ত লাগছে। ফ্রেশ হয়ে দুপুরে
আসবো। (আমি) ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
.
-- আর কিছুক্ষণ থাকেক না, আরেকটু গল্প করি।
তোকে ছাড়া কিছু ভাল লাগেনা। (রিমি)
.
-- বললাম তো দুপুরে আসবো। আর এখন তুই রেস্ট নে। পরে গল্প করবো। (আমি)
.
আমি হাঁটা দিলাম। দু'কদম যেতেই রিমি আবার পিছন থেকে ডাক দিল। আমি বিরক্ত হয়ে পিছন ফিরে তাকালাম। বললাম,
.
-- কি হয়েছে.? (আমি)
.
-- শোভনের কথা কাউকে বলিস না। (রিমি)
.
-- কেন.? বললে কি হবে.? (আমি)
.
-- কারণ আমি চাইনা শোভনের জন্য আমি আত্মহত্যা করেছি এটা কেউ জানুক। এসব যেন তোর আর আমার মর্ধ্যেই থাকে। তরী'কেও বলবি না। (রিমি)
.
-- ঠিক আছে, বলবো না। (আমি)
.
তারপর আমি আর কিছু না বলে রিমির কেবিন থেকে বেরিয়ে এলাম। বেলা অনেক হয়েছে। ১০টা বাঁজতে চলল। এখন বাড়ি যাওয়া উচিত। সারারাত জেগে থাকার কারণে ঘুমে চোখ বুজে আসছে। ঢুলতে ঢুলতে হাটছি। বাড়ি গিয়ে একটু ঘুমাতে হবে। মা-বাবা কে রিমির কাছে রেখে আমি বাড়ি চলে এলাম।
.
এদিকে,
রিমি বেডে শুয়ে মনে মনে হিসাব কষছে। শাহিনের বিয়ে কিভাবে ভাঙবে সেটাই চিন্তা করছে। রিমি মাথায় দারুণ একটা বুদ্ধি এসেছে। কিভাবে কি করবে সব প্ল্যান করে নিল রিমি। প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করলে শাহিনের বিয়ে ১০০% ভেঙে যাবে। খুশিতে রিমির চোখ দু'টো চকচক করে উঠলো। খুব শীঘ্রই রিমির মনের আশা পূরণ হবে। শাহিন কে নিজের করে পাবে সে। খুশি যেন ধরে না রিমির। মনে হচ্ছে, হাওয়ায় ভাসছে সে।
.
রিমি মনে মনে বলল, "এবার তুই আমার আসল রূপ দেখবি, শাহিন। এই রিমি কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা হারে হারে টের পাবি। অনেক সহ্য করেছি কিন্তু আর না। ভালবাসা কিভাবে আদায় করে নিতে হয় আমার জানা আছে। তোর বউ শুধু আমি হবো, শুধুই আমি। আমাকে ছাড়া অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করার কথা চিন্তা করলে মেরে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখবো.!"
.
.
.
দুপুরের একটু পরে আমি হাসপাতালে এলাম। রিমির সাথে দেখা করতে যাবো তখন দেখি দরজার সামনে তরী দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে এগিয়ে এলো তরী। ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি খেলা করছে।
.
-- কখন এলে.? (আমি)
.
-- এই তো কিছুক্ষণ আগে। (তরী)
.
-- রিমির সাথে দেখা হয়েছে.? (আমি)
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- হ্যাঁ। মা ওকে খাওয়াচ্ছে। (তরী)
.
কথাটা বলেই তরী আমার হাত ধরে সবার থেকে আড়ালে নিয়ে এলো। হাসপাতালের করিডোরের পূর্ব পাশে দেয়ালের কোণ ঘেষে দাঁড়ালাম আমরা। এদিকটায় সচারাচর কেউ আসে না। সবসময় ফাঁকা থাকে জায়গাটা। তবে তরী আমাকে এখানে কেন নিয়ে এলো বুঝতে পারছি না।
.
আমি তরী'কে কিছু বলার আগেই সে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। তরীর নরম দেহটা আমার বুকের মাঝে মিশে যেতে চাইছে। তরীর এমন ব্যবহারে আমি তব্দা খেয়ে গেলাম। কিছু বলতে পারলাম না। ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম। তরী আদুরে গলায় বলল,
.
-- হাবলুর মত চুপ করে আছো কেন.? জড়িয়ে ধরো আমায়.! (তরী)
.
আমি দুই হাত প্রসারিত করে তরী'কে জড়িয়ে ধরলাম। তরী চুপটি করে আমার বাহুডোরে লুকিয়ে আছে। সেই সাথে আরেকটা কাজ করছে সে। আমার লোমশ বুকে মৃদুভাবে কামড় দিচ্ছে আর গলায় চুমু খাচ্ছে। এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর তরী আমাকে ছেড়ে দিল। তারপর আমার পা'য়ের উপর ভর দিয়ে মুখ বরাবর দাঁড়াল। তরীর গরম নিঃশ্বাস আমার মুখে এসে পরছে। আমি চোখ নাচিয়ে বললাম,
.
-- আপনার মতলব মোটেও ভালো ঠেকছে
না, ম্যাডাম। (আমি)
.
তরী কিছু বলল না। লজ্জা মাখা একটা হাসি দিলো। তারপর পুরো শরীর আমার উপর ছেড়ে দিল। ঢলে পরলো আমার গা'য়ের উপর।
.
হটাৎ তরী একটা ভয়ংকর কান্ড ঘটিয়ে বসলো। যেটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। তরী আচমকা আমার ঠোঁঠে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল। পৃথিবী যেন কয়েক মূহুত্ব্যের জন্য থমকে গেল আমার কাছে।
.
তরী নিজেকে আমার কাছে শপে দিয়েছি। আমাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে এলোপাথারি কিস করছে আমার ঠোঁঠে.! তরীর কমলার কোয়ার মত রসে ভরা ঠোঁট দিয়ে সমানে আমার ঠোঁট কামড়াচ্ছে আর ললিপপেরর মত চুষছে.! আদরে আদরে আমাকে পাগল বানিয়ে ফেলেছে তরী.! আমি আর থাকতে না পেরে তরীর সরু মেদহীন কোমড়ে হাত রাখলাম। আস্তে করে পেটে চাপ দিলাম। তরী শিউরে উঠলো। আমি মৃদুভাবে তরীর গলায় কামড় বসিয়ে দিলাম। উত্তেজনায় তরী আমার পিঠ খামচে ধরলো।
.
এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর তরী আমার থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিলো। আমরা দু'জনেই হাপাচ্ছি। আমি তরী'কে টান দিয়ে আমার কাছে নিয়ে এলাম। তরী আমার গলা জড়িয়ে ধরলো। আমি তরীর গালে নাক ঘষতে ঘষতে বললাম,
.
-- আজ এত আদর করছো যে.? (আমি)
.
-- কারণ আজ আমি খুব খুশি। (আমার গালে চুমু দিয়ে)
.
-- কেন.? লটারিতে অনেক টাকা জিতেছো নাকি.? (আমি)
.
-- হুমম। তবে টাকা নয় তোমাকে জিতেছি। তোমাকে ভালবেসে আমি কোন ভুল করিনি সেই জন্য খুব খুশি আমি। তোমার জন্যই রিমি আজ বেঁচে ফিরেছে। তুমি সময়মত রিমি'কে হাসপাতালে না নিয়ে এলে কি যে হতো... (তরী)
.
-- ধুররউ, কি যে বলো না তুমি। আমি নই আল্লাহ চেয়েছেন তাই রিমি বেঁচে ফিরেছে। আমি তো কেবল উছিলা মাত্র। (আমি)
.
-- এ জন্যই তোমাকে আমি এত ভালবাসি। তুমি মানুষটা বড্ড ভালো.! (তরী)
.
আমি তরী'কে আরেকটু কাছে টেনে নিলাম। আদুরে গলায় বললাম,
. ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- এত প্রশংসা করতে হবে না, ম্যাডাম। আরেকটু আদর করলেই হবে। (আমি)
.
-- উহু, আর না। বিয়ের পর যখন চাইবে তখন আদর করবো। (তরী)
.
-- বিয়ে হতে তো অনেক দেরি। রিমির জন্যই এখন বিয়ের ডেট পিছিয়ে যাবে। রিমি আত্মহত্যা করার চেষ্টা না করলে এখন আমরা সবাই তোমাদের বাড়িতে থাকতাম। সবাই আমাদের বিয়ের দিনখন ঠিক করতো। কিন্তু ওই কুটনি রিমির জন্য সব ভেস্তে গেলো।
.
-- যা হবার তা হয়ে গেছে। এখন আর এসব বলে কি লাভ। (তরী)
.
-- হুমম। (মন খারাপ করে)
.
-- ইসসস.! আমার জানটার মন খারাপ হলো নাকি.? আসো একটু আদর করে দেই। (তরী)
.
কথাটা বলে তরী আমার কাছাকাছি চেপে এলো। আমি তরীর কোমড় জড়িয়ে ধরলাম। তরী আমার ছোঁয়া পেয়ে ভালবাসার আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো। হার্টবিট বেড়ে গেছে তরীর। আমি তরীর বুকের ধুকধুক আর ঘনঘন নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছি।
.
আমি আলতো করে তরীর গোলাপী ঠোঁটে হাত ছোঁয়ালাম। তরী তখনো চোখ বন্ধ করে আছে। আমি এবার আস্তে করে তরীর ঠোঁটে ঠোঁট মেলালাম। তরীর মসৃণ গোলাপী ঠোঁঠ জোড়া চুষতে লাগলাম। তরী আমার মাথা শক্ত করে চেপে ধরলো। সে ও সাড়া দিতে লাগলো আমার সাথে।
.
আমার মনে হলো, আমি আর ইহজগতে নেই। হাওয়ায় ভাসছি। আমার সাড়া শরীরে যেন কারেন্ট বইছে। এমন অনুভুতি কখনো হয় নি আমার। একটা মেয়ের ঠোঁটের ছোঁয়া পাওয়া কম কথা নয়।
.
হটাৎ আমার সামনে চোখ গেল। দেখি রিমি দাঁড়িয়ে আছে। চোখ দু'টো অগ্নিবর্ণ ধারণ করে। মনে হচ্ছে, রিমির চোখ দিয়ে আগুন বের হবে আর সেই আগুনে আমাকে পুড়িয়ে ছাই করে দিবে.!
.
চলবে.... ?????