.



দুপুর বেলা ক্রিকেট খেলে ঘামে ভেজা শরীর
নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।
ব্যাটটা রেখে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে
ঘরে ঢুকলাম। ঘরে ঢুকে আশেপাশে তাকিয়ে
রীতিমত টাস্কি খেলাম।
এটা কি আমার ঘর..? নাকি ভুল করে অন্য
কারো ঘরে ঢুকে পড়লাম.?
.
পুরো ঘর সুন্দর করে সাজানো-গোছানো.!
দেখেই চোখ জুড়িয়ে গেল আমার।
চারদিক থেকে মিষ্টি ঘ্রাণ ভেসে আসছে।
আহ্, কি সুভাস.! এই গরমের মর্ধ্যেও মনটা
শীতল হয়ে গেল।
.
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় ঘরটা এত সুন্দর
করে গোছালো কে.?
নিশ্চয় মা গুছিয়েছে। কত বার বলি এই
বয়সে আর এত খাটাখাটনি করো না তবুও মা
আমার কথা কানে তুলে না। ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
কি দরকার ছিল ঘরটা গোছানোর।
এসব আলতু ফালতু কাজে সময় নষ্ট করার
কি দরকার ছিল.?
যে কাজটা করা দরকার সেটা না করে অকাজ-কুকাজ
করে বসে থাকে।
.
ছেলে বড় হয়েছে সে দিকে উনার খেয়াল-ই নেই।
একটা বিয়ে দিলেই তো সব সমস্যার
সমাধান হয়ে যায়। তখন ছেলের বউ এসেই বাড়ির
সব কাজ করতো।
কিন্তু না, আমার শ্রদ্ধেয় আম্মাজান ছেলের
বিয়ের কথা মুখেই আনছে না।
.
ছেলে যে বিয়ের জন্য দিন-দিন পাগল হয়ে
যাচ্ছে উনি যেন সেটা দেখেও না দেখার ভান করছে।
বলি, কত দিন আর কোলবালিশ জড়িয়ে
ধরে ঘুমাবো। আমারও তো অন্যদের মত নিজের
বউকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে ইচ্ছা করে নাকি.?
কিন্তু মা আমার বিয়ে দিতেই চাচ্ছে না।
বাধ্য হয়ে কয়েকবার মা'কে ইনিয়ে-বিনিয়ে বুঝিয়েছি
আমি বিয়ে করতে চাই কিন্তু ফলাফল শূন্য।
.
এসব দুঃখের কথা ভেবে শীতল মনটা আবার
গরম হয়ে গেল। গাঁ থেকে গেঞ্জি টা খুলে ছুড়ে ফেললাম। মেজাজটা গরম হয়ে গেছে। মাথায় পানি না
ঢাললে মাথা ঠান্ডা হবে না।
.
টাউয়েলটা গলায় পেচিয়ে বাথরুমে ফ্রেশ
হওয়ার জন্য পা বাড়ালাম।
বাথরুমের দরজাটা ধাক্কা দিয়ে খুলতেই যা
দেখলাম তাতে আমার সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে গেলো।
চোখ দু'টো ফুটবলের মত আকার ধারণ
করলো। হা করে এক দৃষ্টিতে সামনের দিকে
তাকিয়ে রইলাম। কি দেখছি আমি.?
আমার মামাতো বোন রিমি অর্ধলগ্ন হয়ে গোসল
করছে.!
আমার মাথা ভনভন করে ঘুরতে লাগলো।
মনে হচ্ছে আমি হাওয়ায় ভাসছি.!
.
কিন্তু এই পেন্তীটা আমাদের বাড়িতে
কি করছে, তাও আবার আমার বাথরুমে.!
আবার দরজা লক না করেই গোসল করছে.!
.
আমি কিছু বলতে যাবো তখন-ই রিমির চোখ
আমার দিকে পড়লো। আমাকে দেখার
সাথে সাথে রিমি গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিল।
রিমির চিৎকার শুনে আমিও ওর সাথে
তাল মিলিয়ে চিৎকার দিলাম।
রিমিও চিল্লাচ্ছে আমি ওর সাথে চিল্লাচ্ছি।
রিমি তাড়াতাড়ি করে ওর অর্ধলগ্ন শরীর ঢেকে
আমার পেটে সজোরে একটা ঘুসি মারলো।
আমি ব্যাথায় কঁকিয়ে উঠলাম।
রিমি চিৎকার করে বলল,
.
-- কুত্তা, তুই নক না করে বাথরুমে ঢুকলি
কোন সাহসে.? (প্রচন্ড রেগে)
.
-- আসলে আমি.... (ঘাবড়ে গিয়ে)
.
-- যা, বের হ এখান থেকে... (রিমি)
.ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই রিমি আমাকে
ধাক্কা দিয়ে বাথরুম থেকে বের করে দিলো।
ব্যাপারটা এত তাড়াতাড়ি ঘটে গেল যে কিছু বলার
সময়ও পেলাম না।
তাছাড়া এমন অবস্থায় কিছু বলাও ঠিক না।
আমি বাইরে এসে বিছানার উপর ধপাস
করে বসে পড়লাম।
চোখের সামনে কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া
দৃশ্যগুলো ভাসছে.!
কখনো ভাবিনি লাইফে এমন কিছু দেখবো.!
আমার নিজের খুব রাগ উঠলো। কেন যে তাড়াহুরো
করে বাথরুমে ঢুকতে গেলাম। ধুররররর...
.
বিছানার উপর বসে কিছুক্ষণ আগের ঘটনাটা চিন্তা
করছি হটাৎ বাথরুম থেকে রিমি আমাকে ডাক দিলো,
.
-- এই কুত্তা, একটু শোন তো.! (রিমি)
.
আচমকা রিমির ডাকে চমকে উঠলাম।
ভাবনায় ছেদ ঘটলো।
বসা থেকেই চিৎকার করে বললাম,
.
-- কি হয়েছে রে পেত্নী.! ডাকছিস কেন.? (আমি)
.
রিমি মিষ্টি স্বরে বলল,
.
-- একটু এদিকে আয় তো.! (রিমি)
.
-- কেন, কি হয়েছে.? (আমি)
.
-- দরকার আছে। আয় না একটু.! (রিমি)
.
কথা না বারিয়ে বাথরুমের কাছে এগিয়ে গেলাম।
বাথরুমের কাছে গিয়ে দেখি রিমি ওর মাথা
দরজাটা একটু ফাক করে বের করে রেখেছে।
আমি ওর কাছে এগিয়ে গেলাম।
আমাকে দেখেই রিমির চেহেরা কেমন
যেন পাল্টে গেল।
চোখে-মুখে লজ্জার ছাপ, গাল দুটো টমেটোর
মত লাল হয়ে গেছে।
জানি না কেন রিমিকে দেখে আমারও
খুব লজ্জা লাগছে।
কিছুক্ষণ আগে যা ঘটে গেল সত্যি বলতে
সেটার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
.
-- এই কুত্তা, অমন হা করে কি
দেখছিস রে.? মুখে মশা ঢুকবে তো.! (রিমি)
.
রিমির কথায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম।
আমতা আমতা করে বললাম,
.
-- কিছু না। এমনি দেখছিলাম। (আমি)
.
-- ওহ্... (রিমি)
.
-- হুম। কি জন্য ডাকলি.? (আমি)
.
-- টাউয়েলটা আনতে ভুলে
গেছি, একটু এনে দে না.? (রিমি)
.
-- পারবো না। তুই গিয়ে নিয়ে আয়, আমাকে
কেন বলছিস.? (আমি)
.
-- গাধা.! আমি এই অবস্থায় যাব.?
আমার গা'য়ে কিচ্ছু নেই.! (মাথা নিচু করে)
.
-- ঠিক আছে আনছি। (আমি)ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
.
-- তাড়াতাড়ি আন.! (রিমি)
.
-- আনছি তো... দাঁড়া না। (আমি)
.
রিমির কথামত ওকে টাউয়েলটা এনে দিলাম।
রিমি হাত বাড়িয়ে টাউয়েলটাননিয়ে ঠাস করে
দরজাটা লাগিয়ে দিল।
আমি আবার বিছানায় এসে বসলাম।
.
ওহ্ হ্যা, এত কথার মাঝে নিজের পরিচয়টাই
তো দিতে ভুলে গেছি। আমি শাহিন, শাহিন আলম।
মা-বাবা একমাত্র ছেলে। এবার অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র।
আর এতক্ষণ যার সাথে কথা বললাম সে হলো রিমি।
আমার মামাতো বোন। বড় মামার একমাত্র মেয়ে।
রিমিও এবার আমার সাথেই অনার্স ২য় বর্ষে
পড়ালেখা করছে।
.
রিমি আর আমি প্রায় সমবয়সী। বয়সে আমি রিমির
থেকে ৬ মাসের বড়।
মামার বাড়ি বেশি দূরে না হওয়ায় রিমি প্রায়
আমাদের বাড়ি আসে।
বলতে গেলে বেশির ভাগ সময় রিমি
আমাদের বাড়িতেই থাকে।
.
এই তো এক সপ্তাহ আগে রিমি ওর নিজেদের
বাড়িতে গিয়েছিল, এরই মধ্যে আবার
আমাদের বাড়িতে ফিরে এসেছে।
আমার মনে হয় ওখানে রিমির মন বসে না।
তাই বারং বার এখানে ছুটে আসে।
হয়তো আমাদের বাড়িতে মধু আছে যে
কারণে এখানে থাকতে রিমির এত ভালো লাগে।
.
তাছাড়া আমাদের বাড়িতে থাকার আরো একটা
কারণ আছে। ছোট বেলায় রিমির মা মানে
আমার মামি মারা গেছেন।
রিমির বয়স তখন মাত্র ৫ বছর.!
.
মামি মারা যাওয়ার পর মামা আর
বিয়ে করেন নি। আর আমার মা রিমির সব দায়িত্ব নেয়।
তারপর থেকেই রিমি আমাদের বাড়িতেই থাকে।
আমার মাকে আম্মু আর বাবাকে আব্বু বলে ডাকে।
আর তাছাড়া রিমি না থাকলে পুরো বাড়িটা
একদম খা-খা করে। রিমি একাই সারাক্ষণ বাড়িটা
মাতিয়ে রাখে।
.
আমি বসে বসে এসব ভাবছিলাম, এমন সময়
রিমি আবার আমাকে ডাক দিলো।
মেজাজাটা এবার খারাপ হয়ে গেল।
পেত্নীটা বারবার ডাকছে কেন.?
.
আমি রাগী-রাগী ভাব নিয়ে আবার বাথরুমের
কাছে গেলাম। দেখলাম, এবার ও রিমি দরজাটা
একটু ফাক করে মাথা বের করে রেখেছে।
আমি রিমির দিকে চেয়ে কড়া গলায় বললাম,
.
-- কি হয়েছে রে.? বারবার এত
ডাকছিস কেন.? (আমি)
.
-- একটু দরকার ছিল.! (রিমি)
.ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
-- বল। (আমি)
.
-- কালো শাড়িটা একটু এনে দে না... (রিমি)
.
-- কোথায় আছে.? (আমি)
.
-- তোর ঘরের আলনায় আছে। (রিমি)
.
-- তোর শাড়ি আমার ঘরে কেন রে.? (আমি)
.
-- এমনি রাখছি। এনে দে না একটু... (রিমি)
.
এক প্রকার বিরক্ত হয়ে ঘর থেকে রিমির
শাড়িটা নিয়ে আসলাম।
.
-- নে ধর... (আমি)
.
রিমি হাত বাড়িয়ে শাড়িটা নিয়ে নিলো।
মুচকি হেসে বলল,
.
- ধন্যবাদ। (রিমি)
.
- হুমম। তাড়াতাড়ি গোসল শেষ কর।
আমাকে গোসল করতে হবে। (আমি)
.
- দাঁড়া আর ৫ মিনিট। শাড়িটা পড়লেই হয়ে
যাবে। (রিমি)
.
- আচ্ছা। (আমি)
.
তারপর আমি ঘরে এসে বিছানার উপর বসলাম।
একটু পর দেখি রিমি আসলো।
আমি রিমির দিকে তাকিয়ে টাস্কি খেলাম।
কালো শাড়িতে রিমিকে খুব সুন্দর লাগছে।
ওর লম্বা চুল বেয়ে টপটপ করে পানি
চুইয়ে পড়ছে।
ইশশশ.! কি বলবো, এক্কেবারে স্বর্গের পরী.!
হটাৎ রিমির ডাকে আমার ঘোর কাটলো।
.
-- এই বান্দর, ওভাবে তাকিয়ে কি দেখিস.? (রিমি)
.
রিমির কথায় খানিকটা লজ্জা পেলাম।
ওর দিক থেকে চোখ সরিয়ে অন্য দিকে তাকালাম।
রিমি আবার বলল,
.
-- কিরে, কথা বলছিস কেন.? ওভাবে কি
দেখছিলি.? (রিমি)
.
আমি মাথা নিচু করে আমতা
আমতা করে বললাম,
.
-- তোকে.! (আমি)
.
-- আমাকে সুন্দর দেখাচ্ছে.? (লজ্জা পেয়ে)
.
রিমির কথা শুনে মুচকি হাসলাম।
মনে মনে বললাম, "শুধু সুন্দর না, তার চেয়েও
বেশি কিছু। তোর কাছে সৌন্দর্য তো
নেহাত নস্যি.!"
কিন্তু মুখে সেই কথা প্রকাশ করলাম না।
রিমিকে রাগানোর জন্য বললাম,
.
-- উহু, পেত্নীদের মত লাগছে। (আমি)
.
আমার কথা শুনে রিমি সত্যিই রেগে গেল।
শুধু রেগে না ভয়ংকর মাত্রায় রেগে গেল।
রাগে আমার কাছে এসে আমার মাথার চুল খুব
জোরে টেনে ধরলো।
আমি ব্যাথায় চিৎকার দিয়ে উঠলাম।
আমার করুণ আর্তনাদ যেন রিমির কানে
পৌছাচ্ছে না। সে চুল টানতেই আছে।
আমি রিমিকে ছাড়াতেই পারছি না।
করুণ গলায় রিমিকে বললাম,
.
-- রিমি ছাড়, লাগছে তো.! (আমি)
.
- লাগুক। কুত্তা, আমাকে পেন্তী
বলিস তাই না.?
আমি পেন্তী.! আজ তোর মাথার চুল আমি
টেনে ছিড়ে ফেলবো। (রিমি)
.
কথাগুলো বলে রিমি আবার আমার
চুল আরো জোরে টান দিলো। আমি ব্যাথায়
কাতরে উঠলাম। মনে হচ্ছে মাথাটা খুলে পরে যাবে।
উপায় না পেয়ে আমি চিৎকার করে মাকে ডাকতে লাগলাম।
ডাক শুনে মা হন্তদন্ত হয়ে ঘরে
আসলো। বলল,
.
-- কি হয়েছে রে.? ডাকছিস কেন.? (মা)
.
মা আসাতে রিমি একটু শান্ত হলো কিন্তু মাথার
চুল ছাড়লো না.!
রিমি তার নরম হাত দিয়ে শক্ত করে আমার
চুল টেনে ধরে আছে।
আমি মা'র দিকে করুণ ভাবে
তাকিয়ে বললাম,
.
-- কি হয়েছে দেখছো না.? এই পাজি মেয়েটা
আমার চুল ধরে টানাটানি করছে।
আমাকে নাকি টাকলা বানাবে.! (আমি)
.
-- হুমম বানাবোই তো.! আমাকে পেন্তী
বললি কেন.? (রিমি)
.ডেঞ্জারাস মামাতো বোন
কড়া গলায় বললো রিমি। এতক্ষণে মা
রিমির দিকে তাকালো। ভ্রু-কুচকে বললো,
.
-- কি ব্যাপার রিমি, তুই শাহিনের চুল
ধরে আছিস কেন.? (মা)
.
-- কারণ আছে আম্মু। তোমার এই বাঁদর
ছেলেকে আজ টাকলা বানাবো.! (রিমি)
.
-- ওই, বাঁদর কাকে বললি রে.? (চোখ পাকিয়ে)
.
-- কাকে আবার, তোকে বললাম.! (রিমি)
.
-- দেখ রিমি, ভালো হচ্ছে না কিন্তু.! (আমি)
.
-- আহ্.! তোরা থাম তো। রিমি বল তো
কি হয়েছে। (মা)
.
রিমি এবার মেকি কান্না করে
বলল,
.
-- জানো আম্মু, তোমার ছেলে আমাকে
কি বলেছে.? (রিমি)
.
-- কি বলেছে.? (মা)
.
-- আমি নাকি পেন্তীদের মত.! আচ্ছা, তুমিই বল
আমি কি সত্যি-ই পেন্তী.? (রিমি)
.
-- না, একদম না। তুই তো পরী.! (মা)
.
-- তাহলে তোমার এই বাঁদর ছেলেটা আমাকে
পেন্তী বলে কেন.?
এর আগেও অনেক বার বলছে.! (ন্যাকামি করে)
.
-- তাহলে শুধু চুল টানছিস কেন.?
দু-চারটে চড়-থাপ্পরও মার না.! (মা)
.
-- ঠিক আছে আম্মু। (রিমি)
.
কথাটা বলে রিমি মুচকি হাসলো। ওর হাসি দেখে গা
জ্বলে গেলো আমার।
আমি অসহায় চাহনি নিয়ে মা'র দিকে তাকালাম।
মনে মনে ভাবছি, "এটা আমার নিজের মা নাকি সৎ.!
ছেলেকে বাঁচানো বাদ দিয়ে উল্টো মাইর দিতে বলছে।"
.
মাকে কিছু বলার আগেই মা হনহন করে ঘর
থেকে বেরিয়ে গেল।
কিছু বলার সুযোগও পেলাম না।
আমি আড়-চোখে রিমির দিকে তাকালাম।
রিমি আমার দিকে এক ভাবে চেয়ে আছে।
ওর ঠোঁটে দুষ্টু হাসি।
.
-- কোন গালে আগে চড় মারবো.? (রিমি)
.
আচমকা রিমির কথায় চমকে উঠলাম।
কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকাও খেয়ে গেলাম।
রিমি উত্তরের আশায় ভ্রু-কুচকে কপাল ভাজ করে
আমার দিকে চেয়ে আছে।
আমি ঢোক গিলে আমতা আমতা
করে বললাম,
.
-- মানে.? (আমি)
.
-- মানে তোর কোন গালে আগে চড় মারবো।
আম্মু বললো না তোকে চড় মারতে.! (রিমি)
.
রিমি সামান্য হেসে কথাটা বললো।
আমি আবারও ঢোক গিললাম।
করুণ সুরে বললাম,
.
-- তুই কি সত্যি সত্যি আমাকে
চড় মারবি নাকি.? (আমি)
.
-- শুধু মারবো না, আরো অনেক
কিছু করবো.! (রিমি)
.
-- দেখ পেন্তী, একদম আমাকে রাগাবি না।
আমি মেয়েদের অনেক সম্মান করি
তাই চুপ করে আছি।
মুখ বুজে তোর অত্যাচার সহ্য করছি।
তাছাড়া আমি চাই না খামোখা তোর সাথে গন্ডগোল বাঁধুক।
কিন্তু তুই যদি আমাকে মারিস তাহলে আমিও
কিন্তু ছেড়ে কথা বলবো না, হু.! (আমি)
.
আমার এসব কথা শুনে রিমি ভয় পাওয়া তো
দূরের কথা, উল্টো ও হেসে উড়িয়ে দিল।
নাক কুঁচকে বলল,
.
-- এসব ভয় অন্য কাউকে দেখাইস।
এই রিমি এসবে ভয় পায় না।
আজ তোকে মেরে আমি ভর্তা বানাবো...!
আমাকে পেন্তী বলার সাধ মিটিয়ে দিব.! (রিমি)
.
.
.
চলবে..... ??????